প্রশ্ন ফাঁস হবে না, আশা মন্ত্রীর

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2016, 05:56 AM
Updated : 1 Feb 2016, 07:50 AM

সোমবার ঢাকার তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, আমরা আশাবাদী, প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব না।”

সোমবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে অংশ নিচ্ছে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী।

গত দুই বছর ধরেই এসএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ায় এবার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ‍তুলে ধরে নাহিদ বলেন, “সে সময় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সব পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা বলব না।”

বিজি প্রেস থেকে আর ‘প্রশ্ন ফাঁস হবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, মন্ত্রী, সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যান কেউ- প্রশ্ন দেখার সুযোগ পান না। ছাপানো প্রশ্ন এক মিনিটের বেশি সময় কারও হাতে থাকে না। কেউ প্রশ্ন মুখস্ত করার সুযোগ পাবেন না।

কোন প্রশ্ন কোন বোর্ডে যাবে- তা প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে জড়িতদের বোঝার উপায় নেই বলেও জানান নাহিদ।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ফেইসবুকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো হলে বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। দয়া করে গুজবে কান দেবেন না, কোনো বিভ্রান্তিতে পড়বেন না।”

শিক্ষকদেরও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন নাহিদ।

“আমরা কম পাস করার প্রেশারে নেই। যে যা নম্বর পাবে তাকে সেই নম্বরই দেবেন। কাউকে কম বা বেশি দেবেন না।”

শিক্ষকদের ‘অতি উৎসাহী’ হতে নিষেধ করে মন্ত্রী বলেন, “কোনো শিক্ষক অতি উৎসাহী হয়ে বলবেন না যে শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দিতে বলা হয়েছে। এ ধরনের কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।”

২০১৭ সাল থেকে এমসিকিউতে ১০ নম্বর কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা মনে করিয়ে দিয়ে নাহিদ বলেন, ভুলক্রটি যা আছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।

প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) ও বাংলা-২ (৮১২১) (সৃজনশীল) এবং দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা।

এতোদিন তত্ত্বীয় শেষে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হলেও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মেলায় আগে এবার প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হচ্ছে।

আগামী ৮ মার্চ এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ৯ থেকে ১৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলেও এবার কেবল শিক্ষা সচিবকে নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকেছেন নাহিদ।