ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় শিশুসহ এক মাকে হাজতে রাখার খবর নাকচ করে পুলিশ বলেছে, হাজতে নয়, তাদের রাখা হয়েছিল থানার বারান্দায়।
Published : 18 Sep 2015, 10:53 PM
শুক্রবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
বুধবার রাতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের রাজুর স্ত্রী লিপি বেগম, তার ১১ মাসের ছেলে, নাটিমা গ্রামের আবদুল আজিজের স্ত্রী সুখিমনি ও একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে।
বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মহেশপুর থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, একদল লোক আব্দুল আজিজের বাড়িতে হামলা করায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শুধু মাকে আনা হলে শিশুটিকে তো একা রেখে আসা যায় না, তাই তাকেও নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, শিশু ও মাকে হাজতে রাখা হয়নি, গ্রিল দেওয়া বারান্দায় রাখা হয়েছিল। পরদিন সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আব্দুল আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিপির স্বামী রাজু বেশ কিছুদিন ঝিনাইদহ জেলখানায় ছিল। সেখানে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। রাজু আমাকে ধর্ম বাবা ডাকে।
“বুধবার রাতে রাজু তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আমার বাড়ি আসে। এ সময় গ্রামের কিছু মাস্তান লোক আমাদের উপর চড়াও হয়। তারা টাকা চায়।”
টাকা না পেয়ে তারা মহেশপুর থানায় খবর দেয় বলে জানান আজিজ।
এরপর পুলিশ দেখে রাজু ও তিনি (আজিজ) পালিয়ে গেলেও চারজন আটক করে পুলিশ, বলেন আজিজ।
এদিকে, রাজুর বাবা ভালাইপুর গ্রামের আজব আলি বলেন, “রাজু নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কয়দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাইছে।”
সাত-আট বছর আগে রাজুকে তিনি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে জানান।