হামলার জন্য জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ‘১০-১৫ জনকে’ দায়ী করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
Published : 04 Jan 2025, 08:53 PM
নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কর্মসূচি চলাকালে হট্টগোল ও হামলার মধ্যে এক অতিথিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান আহত হয়েছেন।
হামলার জন্য জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
তবে হামলার পর ফেইসবুক লাইভে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন ফারুক হাসান। পরে অবশ্য সেই ভিডিও মুছে ফেলেন তিনি।
‘ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের’ দাবিতে শনিবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি ডাকে গত ১৬ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
সেখানে উপস্থিতি একটি সংবাদমাধ্যমের কর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাব্বিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফারুক হাসান ছিলেন বিশেষ অতিথি। অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তার বিতণ্ডা হয়।
“এক পর্যায়ে তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে যাওয়া সড়কে ফেলে মারধর করতে দেখা যায়।”
কর্মসূচি চলাকালে হট্টগোল শুরু হলে সেখানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ স্থলের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশ শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “এই ঘটনায় আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করেছি। ওসি বলেছেন প্রয়োজনীয় তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে। তাই আমরা ডিসির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।”
তার অভিযোগ, "অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপ্লবী পরিষদের ১০-১৫ জন সদস্য ফারুক হাসানের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর পদেক্ষপ নেব।”
হামলার পর মারধরের শিকার গণঅধিকার পরিষদের ফারুক ফেইসবুক লাইভে বলেন, "আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অনুষ্ঠানে আমাকে বিশেষ অতিথি বানিয়েছি তারা। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল। এদের আসলে ভালো বলার কোনো সুযোগ নেই এখন।”
তবে লাইভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিডিওটি মুছে ফেলেন ফারুক।