বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজ নিয়মিত টহল দিচ্ছে, মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে, বলেছে আইএসপিআর।
Published : 16 Jun 2024, 11:17 PM
বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ার কোনো গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
রোববার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ সেন্ট মার্টিনের নিকটবর্তী হওয়ায় বিভিন্ন স্বার্থান্নেষী মহল এ দ্বীপকে ঘিরে গুজব ছড়াচ্ছে।
“সকলকে এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল।”
একই সঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের কাছে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ সময় মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিনগামী ট্রলারে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমার অংশ থেকে গত সপ্তাহে গুলিবর্ষণ করার একাধিক ঘটনা খবরে এসেছে। সেই সঙ্গে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে দেশটির বড় একটি জাহাজ দেখা যাওয়ার খবরও হয়েছে। একই সময় সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ ও ভারি গুলিবর্ষণের শব্দও এপার থেকে শোনা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি গত এক মাস শান্ত থাকার মধ্যে নতুন করে গোলাগুলির ঘটনা এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে টেকনাফ ও কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকল্প পথে পণ্য পরিবহন শুরু হয়। আবার শনিবার সকাল থেকে নাফ নদীতে থাকা বড় সেই জাহাজও আর দেখতে পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে গত কয়েক দিন থেকে সোশাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিন ঘিরে নানা ধরনের বক্তব্য আসছে। রাজনীতিবিদরাও এ নিয়ে কথা বলছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে আইএসপিআর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানায়।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইএসপিআর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশন পরিচালনা করছে।
এতে বলা হয়, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির এ সংঘর্ষের কারণে নাফ নদী ও নদী সংলগ্ন মোহনা এলাকায় বাংলাদেশী বোটের উপর অনাকাঙ্খিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ১২ জুন প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় এবং নাফ নদীর মিয়ানমার সীমানায় অবস্থান করে মিয়ানমারের দিকে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে।
”একই সাথে আরাকান আর্মিও মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ও বোট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ অপারেশন পরিচালনা করছে। মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিনের অদূরে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় অবস্থানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে অবহিত করছে।
টেকনাফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলেন বিজিবি প্রধান, প্রস্তুত থাকার