জুলাই-অগাস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে মার্কিন দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, “আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুব গর্বিত।”
Published : 31 Oct 2024, 09:09 PM
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগামী কয়েক মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় তিনি বিষয়টি জানান।
সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ‘একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে’ লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার ‘আন্তরিক প্রচেষ্টারও’ প্রশংসা করেন তিনি।
জুলাই-অগাস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, “আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুব গর্বিত।”
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন মার্কিন দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে’ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে তাদের উত্তর আমেরিকায় পুনর্বাসিত করা যায়।
আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে।
লাফেভ বৈঠকে বলেন, অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে।
“চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,” বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় বলেন, “আমরা অবশ্যই এটি করব।”
বর্তমান সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বৈঠকে জানান প্রধান উপদেষ্টা।