কুরবান শেখ হিল্লোল বলেন, “আমরা শ্যামলীর রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ নাই। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছি।”
Published : 02 Feb 2025, 08:27 PM
উন্নত চিকিৎসার দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে নামা গণঅভ্যুত্থানে আহতরা আট ঘণ্টা পর শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় ছেড়েছেন। সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছেন তারা।
শেরে বাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আজম রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমক বলেন, “সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা ওই রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে। এরপর যান চলাচল শুরু হয়েছে।”
বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতালের) সামনে থেকে সরে গিয়ে তারা ওই মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন তারা।
ব্যস্ত মোড় অবরোধের কারণে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিরপুর রোডের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে।
পুলিশ সদস্যরা আসাদগেট থেকে গাবতলী-মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে মোহাম্মদপুরের ভেতর দিয়ে ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সে সময়।
পরে রাত সাতটার দিকে আহতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা হন।
আন্দোলনকারীদের একজন কুরবান শেখ হিল্লোল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে এজন্য রাস্তা ছেড়েছেন তারা। আহতরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।
“আমরা শ্যামলীর রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ নাই। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছি। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে গাড়িতে, রিকশায়, যে যেভাবে পারছি যাচ্ছি।”
প্রধান উপদেষ্টা তাদের ডেকে পাঠিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে কুরবান শেখ হিল্লোল বলেন, “তিনি আমাদের ডাকেন নাই। সমন্বয়কদের কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি, কোথাও না কোথাও তো আমাদের যেতে হবে। আমরাও তো এই দেশের নাগরিক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা আহত হয়েছি।”