দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইনসাফ বাজারে বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান আতিফ।
Published : 13 Mar 2024, 04:51 PM
ঢাকার কেরানীগঞ্জে টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া আতিফের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রাণী উদ্ধারে কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে কাজ করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইজিপিকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার একটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ইনসাফ বাজারে বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটির সদস্য আতিফ (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
নিহত আতিফের মা তানজিনা রহমান টুম্পা এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আতিফের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
“এছাড়া সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো ‘অ্যানিমেল রেসকিউ’ প্রতিষ্ঠান যাতে কাজ করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের আইজি মহোদয়কে নির্দেশ দিয়েছে।”
ঘটনার পর রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ারের প্রধান আফজাল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ২১ ডিসেম্বর বিকালে স্থানীয়দের মারফত খবর পাওয়ার পর বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখিটিকে উদ্ধার করতে একটি দল পাঠায় ‘রবিনহুড’।
পাখিটিকে মুক্ত করতে পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। সেখান থেকে আতিফ একটি পাইপ দিয়ে আটকে থাকা সুতা ছেড়ার চেষ্টা করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তখন সঙ্গে গাড়িচালক শফিকুর রহমানও (৪৫) দগ্ধ হয়ে ছাদের উপরে পড়ে যান। রুপক (২৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবকও আহত হন।
পরে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আতিফের শরীরের ৭৫ শতাংশ আর শফিকুরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সেখানে রাত ২টার দিকে আতিফ মারা যান।
আরও পড়ুন