চার জেলার এসপি অফিস, ময়মনসিংহে রেঞ্জ অফিসও আক্রান্ত হয়েছে।
Published : 04 Aug 2024, 10:43 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকার পতনের একদফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার ১৯টি থানাসহ পুলিশের ২৬টি স্থপনায় হামলা হয়েছে।
থানা ছাড়া অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে চার জেলার এসপি অফিস, ময়মনসিহে রেঞ্জ ডিআইজির অফিস ও দুটি পুলিশ ফাঁড়ি।
রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এসব হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হামলাটি হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায়। সেখানে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যসহ রোববারের হামলায় বাহিনীটির ১৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। এক দিনেই দেশজুড়ে আহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়ে গেছে।
পুলিশের বার্তায় আক্রান্ত থানাগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় রয়েছে দুই থানা- যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও।
ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়া সদর থানা, দুপচাঁচিয়া, শেরপুর, নারুলি পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা, দিনাজপুর সদর থানা, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি।
আক্রান্ত অন্যান্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় এবং নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এসপি অফিস।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ পুলিশ সদস্য হত্যার শিকার হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছেন বাহিনীর সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক বলেন, “আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা থানায় আগুন দেয় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করে।”
রোববার দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা-সংঘর্ষে প্রাণহানি বাড়ার খবরের পর অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ব্যানারে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে সোমবার দেওয়া হয়েছে। দেশের সব প্রান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ১৩ পুলিশ হত্যা, ফাঁস দিয়ে মরদেহ ঝোলানো হয়