পরবর্তী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে তা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বা এপিএ করা হয়।
Published : 29 Oct 2023, 08:33 PM
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে গত অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সবচেয়ে কম নম্বর পেয়ে এই তালিকায় সবার পেছনে রয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএর ফলাফল প্রকাশ করেছে।
১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৬ নম্বর পেয়ে এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ। আর ৮৮ দশমিক ০৬ নম্বর পেয়ে তালিকার একেবারে নিচে রয়েছে পরিকল্পনা বিভাগ।
গত অর্থবছরে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রাপ্ত নম্বরের গড় ৯৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২০২১-২২ এই হার ছিল ৯২ দশমিক ০১ শতাংশ।
এবার ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় এবং ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চতুর্থ, ৯৯ দশমিক ০১ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় পঞ্চম, ৯৮ দশমিক ৮৩ নম্বর পেয়ে সেতু বিভাগ ষষ্ঠ, ৯৮ দশমিক ৪৫ নম্বর পেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সপ্তম, ৯৮ দশমিক ৪১ নম্বর পেয়ে যৌথভাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় অষ্টম হয়েছে।
এছাড়া ৯৮ দশমিক ৩৬ নম্বর পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ নবম এবং ৯৭ দশমিক ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে অর্থ বিভাগ দশম স্থানে রয়েছে।
পরবর্তী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে তা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বা এপিএ করতে হয়। এই চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সচিবরা সই করেন।
বছর শেষে কাজের মূল্যায়ন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দেয়। এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দেওয়া হয় সম্মাননা।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে কাজে গতি আনতে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে এপিএ চালু করে সরকার; ওই বছর সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই চুক্তি সই করে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোকেও এপিএর আওতায় আনা হয়। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের অফিসকে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিস পর্যন্ত এপিএ সম্প্রসারিত হয়।
অন্যান্য মন্ত্রণালয়-বিভাগের অবস্থান
এপিএ বাস্তবায়নে বেশি নম্বরপ্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে রয়েছে- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৯৮.১৯), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (৯৭.৯১), শিল্প মন্ত্রণালয় (৯৭.৮৫), রেলপথ মন্ত্রণালয় (৯৭.৫৮), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (৯৭.৫১), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (৯৭.৪৩), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (৯৭.৩৫), সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯৭.৩০), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (৯৬.৭৬), স্থানীয় সরকার বিভাগ (৯৬.৭৪), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (৯৬.৭২), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯৬.৫৭)।
এরপর আছে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (৯৬.৫৪), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (৯৬.৩৯), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯৬.৩০), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (৯৬.২৩), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (৯৬.০৭), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় (৯৬.০৬), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (৯৫.৭০), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (৯৫.৪৮), সুরক্ষা সেবা বিভাগ (৯৫.৩৭), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (৯৫.০৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (৯৪.৯৮), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ (৯৪.৮৯), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (৯৪.৬৩), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (৯৪.৬১), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৯৪.৫২)।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় (৯৪.৪৯), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (৯৪.৪০), জননিরাপত্তা বিভাগ (৯৪.২৫), আইন ও বিচার বিভাগ (৯৩.৮৪), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (৯৩.৪৪), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় (৯৩.১৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৯৩.১০), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯২.৮১), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (৯২.০১), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯১.৭২), ভূমি মন্ত্রণালয় (৯০.৩৯), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (৯০.২৬), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (৮৮.৪৮) এবং পরিকল্পনা বিভাগ (৮৮.০৬) আছে এরপর।