সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নতুন সমাজকর্মী নিয়োগ করেছে।
Published : 14 Mar 2024, 08:42 PM
শিশু সুরক্ষায় সরকার নতুন সমাজকর্মী নিয়োগ দেওয়ায় এ কার্যক্রমে 'উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি' আসবে বলে আশা করেছে ইউনিসেফ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নতুন সমাজকর্মী নিয়োগ করেছে, যার ফলে শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সমাজকর্মীর সংখ্যা বেড়ে চার হাজারে দাঁড়িয়েছে।
এর মাধ্যমে ইউনিসেফের সহায়তায় শিশু সুরক্ষায় সমাজকর্মীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ যৌথভাবে নতুন এই সমাজকর্মীদের নিয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করেছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি অনুষ্ঠানে বলেন, “নতুন এই সমাজকর্মীদের নিয়োগ দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি নজির। সরকারি প্রচেষ্টাগুলোর প্রতি সমর্থন, সেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিটি শিশু যাতে তার প্রাপ্য যত্ন ও সুরক্ষা পায় তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফের যে প্রতিশ্রুতি তার আমরা প্রশংসা করি।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বলেন, “একটি উন্নত জাতি গড়ে তুলতে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সমাজকর্মীদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারের এই প্রয়াসকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
ইউনিসেফ শিশু সুরক্ষায় আর কর্মী বাড়ানো ও তাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুদের সুরক্ষায় নিয়োজিত সমাজকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমান গুরুত্বপূর্ণ তাদের মাঝে সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের সন্নিবেশ ঘটানো। কেননা, শিশু ও তাদের পরিবার যখন কোনো সহিংসতার শিকার হয়, তখন এই সমাজকর্মীরাই তাদের পাশে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা নিয়ে দাঁড়ায়।”