“আমরা নিজেরা বেশ কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছি; কারণ বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হোক বা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াতে সময় লাগুক, আমরা তা চাই না।”
Published : 17 Jan 2025, 12:06 AM
জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার দুই ভাই।
বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে আসেন মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত ও জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
স্নিগ্ধ বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছি তার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে পুলিশের চালানো গুলিতেই সেদিন মুগ্ধর জীবন চলে গিয়েছে।”
মুগ্ধর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন কোনো বিষয় নয়।”
আরেক ভাই দীপ্ত বলেন, “আমরা চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে দেখা করেছি। নির্দিষ্ট কারো নাম না উল্লেখ করে শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করেছি। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণাদিসহ যে বা যারা প্রকৃত অপরাধী ও যারা তাদের এই অপরাধ করতে সাহায্য করেছে তাদের মামলায় অপরাধী হিসেবে নিয়ে আসবেন।
“আমরা আশাবাদী যে, সরকার এবং ট্রাইব্যুনাল আমাদের ন্যায় বিচারের আশা পূরণে সক্ষম হবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা নিজেরা বেশ কিছু প্রমাণা সংগ্রহ করেছি; কারণ বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হোক বা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াতে সময় লাগুক, আমরা তা চাই না। আমরা চাই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দ্রুততার সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করবেন, এখানে প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা তাদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছি।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ের শুরু থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সহিংসতার জেরে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করার বিষয়টি তুলে ধরে তার দুই ভাই সাংবাদিকদের বলেন, তারা বারবার মুগ্ধর লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে থাকেন, কারণ পুলিশ এসে লাশ সরিয়ে ফেলার সম্ভাবনা ছিল। লাশ দাফন করার জন্য থানায় অনাপত্তিপত্র নিতে গেলে তারা বলেছিল অনুমতি নেই।