প্রথম মামলায় পুলিশ বাদী হলেও অন্য মামলা দুটি করেছেন রাজধানীর দারুস সালাম ও ধানমণ্ডির জিগাতলার দুই বাসিন্দা।
Published : 02 May 2024, 11:36 PM
জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশনের’ প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মারধর ও মানবপাচারের অভিযোগে আরও দুটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম মামলায় পুলিশ বাদী হলেও অন্য মামলা দুটি করেছেন রাজধানীর দারুস সালাম ও ধানমণ্ডির জিগাতলার দুই বাসিন্দা।
মিরপুর থানার ওসি মুন্সি ছাব্বির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিল্টনের আশ্রমে থাকা একজনকে মারধরের অভিযোগে দারুস সালাম এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান একটি মামলা করেছেন। মামলায় মিল্টন ছাড়া অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মানবপাচারের অভিযোগে জিগাতলার বাসিন্দা এম রাকিব নামের আরেক ব্যক্তি অপর মামলা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এতে মিল্টনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার সঙ্গে অজ্ঞাত তিন-চারজনের কথা বলা হয়েছে।
আগের মামলার মতো নতুন দুই মামলাও তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সড়কে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধ কিংবা শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করার ছবি-ভিডিও শেয়ার করে আলোচনায় আসা মিল্টন সমাদ্দারকে বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গত কয়েকদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রের নামে তার অনিয়মের খবর প্রকাশ হতে থাকলে ফের তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ।
বুধবার রাজধানীর মিরপুর থেকে গেপ্তারের পরদিন সিটি করপোরেশনের সিল নকল করে আশ্রমের বাসিন্দাদের জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে ডিবি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগরক হাকিম তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে ছয়টি কারণ দেখিয়ে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন। শুনানি নিয়ে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিজের আশ্রমের মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতে দাফন করতেন মিল্টন। এক্ষেত্রে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সিটি করপোরেশনের নকল সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে রাখতেন।
এর আগে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পরপরই গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, মূলত সংবাদমাধ্যমে মিল্টনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেসব অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খু তদন্ত করা হবে।