গাজীপুরে ভোটের আগের দিন কাউন্সিলর প্রার্থীকে ইসিতে তলব

ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এসেছে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2023, 06:58 PM
Updated : 23 May 2023, 06:58 PM

‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়ার’ মতো ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বুধবার কমিশনের সামনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

ভোটের আগের দিন এ প্রার্থীর ভাগ্যে কী ঘটছে, তা জানা যাবে বুধবার বিকালে।

ইতোমধ্যে গাজীপুরের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রচার শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

গাজীপুরে ভোটের প্রচার শুরুর পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব করেছিল ইসি। আচরণবিধি পুনরায় লঙ্ঘন না করার প্রতিশ্রুতিতে কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে আর কোনো পদক্ষেপে যায়নি।

মঙ্গলবার ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে মিছিল ও জনসভা করেন। এ জনসভায় তিনি বলেন যে ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেবেন না’, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

তদন্তে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমানকে বুধবার বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেআইনি মিছিল, জনসভা ও ত্রাস সৃষ্টি এবং ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৯১ এবং সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬-এর বিধি ৩১ ও ৩২ এর পরিপন্থী।

আচরণবিধির ৩১ ধারায় বলা হয়েছে- এ বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্যে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। ৩২ এ বলা হয়েছে- তদন্তে বিধান লঙ্ঘন প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে ইসি। নির্বাচন বিধি ৯১-এ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার কমিশন এ কাউন্সিলর প্রার্থীর সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত জানা যাবে কি ঘটতে যাচ্ছে।