রিটকারীর যুক্তি, খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে ‘পড়ে না’।
Published : 10 Dec 2024, 06:46 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার বিধান কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ বিষয়ে রুল জারি করে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
আইনজীবী পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে খেলোয়াড় ও পোষ্য কোটা কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। আগামী দুই সপ্তহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে।”
মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। নোটিস পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি, নাতনি কোটা বাতিল করা হলেও পোষ্য কোটা ও খেলোয়াড় কোটা বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
“খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।”
একটি মানবাধিকার সংগঠন, দুইজন অভিভাবক ও সাধারণ নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবীর পক্ষে মামলাটি করা হয়।
রিটকারী মানবাধিকার সংগঠন ছাড়া অন্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী সোলায়মান তুষার, মাহদী জামান, বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, শাহেদ সিদ্দিকী, খায়রুল বাশার ও লোকমান হাকিম এবং দুইজন সাধারণ নাগরিক মো. হোসেন আলী ও মাহফুজুল ইসলাম।
পুরনো খবর
ঢাবিতে ভর্তি: পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে রিট মামলা