এর আগে তিনি জামিনে থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। বুধবার তাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
Published : 15 May 2024, 09:24 PM
রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ভবনের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়া ‘জঙ্গি’ শেখ গোলাম হোসেন মিলাদসহ দুজনের বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবর ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনালে মামলার বাদী সিটিটিসির ওয়েবসাইট অ্যান্ড ই-মেইল ক্রাইম টিমের তৎকালীন উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই দিন মামলার আসামী মিলাদকে জামিন দিয়েছে আদালত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলায় বিচারক মো. জুলফিকার হায়াত আগামী ৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বলে ট্রাইবুনালের পেশকার জুয়েল রানা জানিয়েছেন।
মিলাদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অপর আসামি মোহাম্মদ আল আমিন শেখ পলাতক।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিলাদ মিন্টো রোডে সিটিটিসি ভবনের পঞ্চম তলার ব্যালকনি থেকে লাফ দেন। বিদ্যুতের তারে পড়ার পর আছড়ে পড়েন নিচে থাকা প্রাইভেট কারের ওপর। প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
এ মামলার এজাহারে ফেইসবুক আইডি থেকে উগ্রবাদী লেখা, সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে জনমনে আতঙ্ক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকিসহ জিহাদ উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ আনা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে মিলাদ ও আল আমিন এবং সোহান সাদ নামে আরেকজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরের বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি একই ট্রাইব্যুনালে সোহান সাদকে বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।
আসামি মিলাদের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার দুর্লভপুর গ্রামে। পুলিশের ভাষ্য, তিনি নব্য জেএমবির সদস্য।
এর আগে তিনি জামিনে থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। বুধবার তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে স্থায়ী জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আর আল আমিনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে।