“স্টাফদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে,” বলেন একজন কর্মকর্তা।
Published : 10 Sep 2024, 02:54 PM
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
তিতাস গ্যাসে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের প্রতিবাদে তাদের এই বিক্ষোভ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা পেট্রোবাংলা প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারের নিচতলার রিসিপশনের কাচ ভাঙচুর করে। সেখানে আধা ঘণ্টার মত বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “স্টাফদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিতাসে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার। কিন্তু সকালের ঘটনায় পেট্রোবাংলার কেউ জড়িত কিনা এবং তিতাসের কারা সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভবনে সিসি ক্যামেরা থাকায় হামলাকারীদের দ্রুত শণাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চাকরির মেয়াদ গত ২১ আগস্ট শেষ হয়। এরপর মেয়াদ না বাড়িয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তার চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপর তিতাসের এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে।
কিন্তু তিতাসের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই এমডি নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে পেট্রোবাংলা কর্যালয়ের নিচে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন তিতাসের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পেট্রোবাংলার কর্মচারী আকের আলী সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়েছে। সামনে আমাদের যাকে পেয়েছে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেছে। আমরা কোনো কিছু বোঝার আগেই কিল, ঘুষি, লাথি মারছে। বাইরে যাওয়ার জন্যে মেইন গেটের কাছে এলে আমাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করে।”
হাতে ব্যথা পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরও কাজ হচ্ছে না। মনে হয় বাইরে চিকিৎসা নিতে হবে “
কারা হামলা চালিয়েছিল জানতে চাইলে আকের আলী বলেন, “আমি বেশ কয়েকজন তিতাসের কার্ডধারীকে দেখতে পেয়েছি। মনে হয় উনারা তিতাসেরই। এছাড়া আর কোনো লোকজনকে চিনতে পারিনি।”
আহত আরেক কর্মী বলেন, “তিতাসের কিছু লোক, যাদের গলায় কার্ড ঝুলানো ছিল; অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার ছিল। সবাই মিলে আমাদেরকে আক্রমণ করে। তারা এসে চেয়ারম্যান স্যারকে অ্যাটাক করবে, মারতে যাবে। আমি চেয়ারম্যান স্যারের ডিউটি করি, চেয়ারম্যান স্যারকে মারবে অন্য লোকেরা এটা কি সহ্য করবেন? আমি গিয়ে দাঁড়িয়েছি তাদের সরিয়ে দিতে। এরপর আমাকে কলার ধরে মারধর করে।”
তিনি বলেন, “দেড়শ থেকে তিনশ লোক এসেছিল। তারা তিতাসের এমডির পরিবর্তন চায়। এসব পরিবর্তন করবে সরকার। জটিলতা করে, সমস্যা করে এখানে এসে হামলা করে কি পরিবর্তন করতে পারবে? একথা বলার পর তারা ইচ্ছেমত মারধর করেছে আমাকে।”