ডাচ্-বাংলার টাকা লুট: আসামি আকাশের জবানবন্দি

দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2023, 01:37 PM
Updated : 26 March 2023, 01:37 PM

ঢাকার উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আকাশ আহম্মেদ বাবুল।

দুই দফা রিমান্ড শেষে রোববার তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আকাশ ‘ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায়’ তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আকাশকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Also Read: ডাচ্-বাংলার টাকা লুট: গ্রেপ্তার আরও ৩

Also Read: ডাচ্-বাংলার টাকা লুট: আরো আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

Also Read: ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকাসহ গাড়ি ছিনতাই

গত ১৪ মার্চ আকাশকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ১৫ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

২১ মার্চ রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে রোববার জবানবন্দি দিলেন আকাশ।

গত ৯ মার্চ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় তুরাগ এলাকায় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের একটি মাইক্রোবাস আটকে চার ট্রাঙ্ক টাকা নিয়ে যায় একদল ডাকাত।

ওই ট্রাঙ্কগুলোতে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল বলে মানি প্ল্যান্টের তরফ থেকে সেদিন জানানো হয়। সেদিন দুপুর থেকে বিকালে খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করা হয়, সেখানে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল।

এরপর ১১ মার্চ রাতে আরও ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

পরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকাশসহ আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ, উদ্ধার করা হয় আরও ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা গেছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

এ ছিনতাইয়ের ঘটনার দিন রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।