গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলার মধ্যে রাজধানীর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে নিহত হন সুমন শিকদার নামে একজন।
Published : 11 Sep 2024, 05:42 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল আলম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করলে বিচারক তাকে চার দিনের হেফাজতে পাঠান।
আদালতে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এসি প্রসিকিউশনের এএসপি নুরুল ইসলাম মুত্তাকিন।
তিনি বলেন, এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য আসামিরা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নাম বলেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনায় তার ‘সরাসরি সম্পৃক্ততার’ প্রমাণ মিলেছে দাবি করে এএসপি নুরুল বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এজাহারে উল্লিখিত অন্যান্য পলাতক আসামিদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
রিমান্ডের বিরোধিতা করে তৌফিক ইলাহীর জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন ও শেখ ফরিদ।
শাহীন বলেন, “তৌফিক-ই-ইলাহী একজন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৮ নং সেক্টরের সহঅধিনায়ক ছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন বয়স্ক মানুষ, তার বয়স ৮২ বছর।
“এ মামলার এজাহারে ২৫০ জনের নাম আছে কিন্তু তার নাম নাই। মামলার বাদী তাকে চেনেন না, তিনিও বাদীকে চেনেন না, শুধু হয়রানি করার জন্য তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।”
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলার মধ্যে রাজধানীর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে নিহত হন সুমন শিকদার নামে একজন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন সুমন। বেলা ১২ টার দিকে উত্তর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণির এলাকায় সড়কে তাকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১৫ দিন পর ২০ অগাস্ট বাড্ডা থানায় মামলা করেন সুমন সিকদারের মা মোসা. মাছুমা।