তাদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
Published : 29 Jan 2024, 04:04 PM
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষিকা এবং আরও ছয় চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
এ নিয়ে এই অভিযোগে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ জনে। এদের মধ্যে ১৮ জনই চিকিৎসক।
রোববার থেকে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডি।
যারা ধরা পড়েছেন তারা হলেন শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার মালা এবং চিকিৎসক কে এম বশিরুল হক, অনিমেষ কুমার কুন্ডু, জাকিয়া ফারইভা ইভানা, সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, জাকারিয়া আশরাফ এবং মৈত্রী সাহা।
তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে।
সিআইডি জানায়, মাকসুদা ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ছাড়াও আরও ৭ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন।
চিকিৎসক কে এম বশিরুল হক থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। তার দেওয়া প্রশ্ন পেয়ে বিভিন্ন সময় অনেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন- এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কয়েকজন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে চিকিৎসক বশিরুলের নাম বলেছেন। প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ‘প্রধান’ হিসেবে চিহ্নিত জসীম উদ্দিনের ডায়েরিতেও তার নাম পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার অনিমেষ কুমার কুন্ডু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার। ২০১৫ সালে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন জোগাড় করে তিনি ১০ জন শিক্ষার্থীকে পড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এদের মধ্যে সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজে এবং জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা নামে দুইজন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভর্তির সুযোগ পান।
সিআইডি বলছে, চিকিৎসক ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ২০০৬-০৭ সেশনে ভর্তি হন প্রাক্তন ইভানা নামে একজন। সে বছর তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ তম স্থান অর্জন করেন।
গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১২ চিকিৎসকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিআইডি বলছে, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া জসীম উদ্দিনের কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের সন্ধান পাওয়া যায়।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)