“সেই দুপুরে বৃষ্টি থেমেছে, অথচ রাতেও রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ পানিতে তলিয়ে আছে। এটা কি পরিকল্পিত উন্নয়ন?”
Published : 12 Jul 2024, 11:18 PM
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টিতে লেকের পানি বেড়ে মঞ্চ এবং লেকের পাশের পায়ে হাঁটার পথও পানিতে তলিয়ে যায়। পরে হাঁটার পথ থেকে পানি নেমে গেলেও মঞ্চটি রাওে পানির নিচে তলিয়ে ছিল।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংস্কৃতিপ্রেমীদের পছন্দের মঞ্চটির ডুবে ধাকতে দেখা যায়। ঘোলা পানিতে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ ময়লা আবর্জনা ভাসছিল। ময়লা পানি থেকে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করতে দেখা গেছে পথ শিশুদের।
মঞ্চের গ্যালারিতে বসে গিটার বাজিয়ে গান-আড্ডায় মেতেছিলেন জনাকয়েক তরুণ। তাদের ঘিরে অনেক মানুষের জটলাও দেখা গেল। সেখানেই কথা হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আসলাম ও হাফিজের সঙ্গে।
আসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেই দুপুরে বৃষ্টি থেমেছে, অথচ রাতেও রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ পানিতে তলিয়ে আছে। এটা কি পরিকল্পিত উন্নয়ন? হাফবেলা বৃষ্টিতেই এত সময় পর্যন্ত পানি কেন থাকবে? এটা অবহেলার কারণেই হচ্ছে।"
হাফিজ বলেন, “আমি যতদূর জানি, এই লেকের তো বাড়তি পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেটি ঠিকমত কাজ করলে তো এভাবে পানি জমে থাকার কথা না।”
১৯৯৬ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন ধানমন্ডি লেকের উন্নয়নকাজ করা হয়। সে সময় নগরীর মানুষের চিত্ত-বিনোদনের কথা মাথা রেখেই রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চটি করা হয়।
ধানমন্ডি লেককে সাতটি সেক্টরে ভাগ করে ইজারা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চটি রয়েছে ৭ নম্বর সেক্টরে। এই অংশটি ইজারা নিয়ে পরিচালনা করছেন গোলাম রাব্বানী হিরু এবং তার প্রতিষ্ঠান ‘ফোর আর ট্রেডিং'।
মঞ্চে পানি জমে থাকার কারণ কী- এই প্রশ্নে ইজারাদার গোলাম রাব্বানী হিরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লেকের পানি বেড়ে গেলে সেটি তো আমরা সরাতে পারব না। এটি সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা সম্মিলিতভাবে করে থাকে।
“পান্থপথের দিকে পানি নেমে যাওয়ার জন্য একটা গেট আছে। সেখান দিয়ে পানি নেমে হাতিরঝিলে চলে যায়। এখন কেন পানি নামছে না, এটা আমার জানা নেই।”
মঞ্চটি আগেও পানিতে তলিয়েছে বলেও জানান হিরু। বলেন, “বেশি বৃষ্টি হলে মঞ্চটি পানিতে তলিয়ে যায়।”
অবশ্য কেবল রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ না, রাত ১১টার দিকেও পানিতে তলিয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা। রাত ৯ টার দিকেও মতিঝিলের আশেপাশের এলাকা থেকেও পানি নামেনি।
নগরীর আরও অনেক নিম্নাঞ্চলে একই চিত্র।