দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা বলছে, দেড়শ কোটি রুপির বিল বকেয়া পড়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব বলছেন, ‘এই অঙ্ক বেশি না।’
Published : 29 May 2024, 11:47 PM
ভারতের ত্রিপুরা থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কুমিল্লা অঞ্চলে যে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে সেখানে ১৫০ কোটি রুপি বকেয়া পড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতের একটি গণমাধ্যম।
বকেয়া ও অন্যান্য কারণে গত একমাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে বলেও খবর দিচ্ছে দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা।
তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব বলছেন, বকেয়ার এই অঙ্ক খুব বেশি না।
বুধবার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি বাবদ ১৫০ কোটি রুপি বকেয়া হিসাবে পাবে। তবুও রাজ্যে বিদ্যুতের মারাত্মক সংকট দেখা না দিলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আলোকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে বাহরামপুর থেকে এক হাজার মেগাওয়াট ও ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
২০১০ সালে ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি করপোরেশনের (টিএসইসিএল) সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
চুক্তি অনুযায়ী, টিএসইসিএল বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ দেবে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ গড়ে ৯০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাচ্ছে।
পিজিসিবির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, মে মাসের প্রথম দিনে ত্রিপুরা থেকে ঘন্টাপ্রতি সর্বনিম্ন ৫২ মেগাওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ১৩২ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ এসেছিল। বুধবার তা সর্বনিম্ন ৭৮ মেগাওয়াট থেকে ৮৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠেছিল। আগের দিন বিকাল ৫টায় ১২২ মেগাওয়াট পূর্বাভাসের বিপরীতে বিদ্যুৎ এসেছে মাত্র ৮ মেগাওয়াট।
স্টেটসম্যান পত্রিকার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রতন লাল নাথ নামের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ত্রিপুরায় মারাত্মক বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিলেই কেবল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করা হবে, তার আগে নয়।
তবে টিএসইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ সরকার বাংলাদেশ থেকে বকেয়া অর্থের বিষয়টির ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “এখন বকেয়া আছে ১৫০ কোটি রুপি। বকেয়া পাওয়ার বিষয়ে বিপিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। লেনদেন পরিস্থিতির ধীর গাতির কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে।”
প্রতিবেদকের ভাষ্য হচ্ছে, বকেয়া পরিশোধ জটিলতা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত করছে। টিএসইসিএল বিদ্যুতের উৎপাদনও ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ভারতীয় কোম্পানিকে অন্য জায়গা থেকে বিদ্যুৎ এনে সরবরাহ সচল রাখতে হচ্ছে।
ভারতীয় পত্রিকার ভাষ্য সম্পর্কে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের ওখানে বিদ্যুতের সংকট হলে তারা আমাদের দেবে কেন? এটাই তো স্বাভাবিক। সেখানে বকেয়া যা আছে তা খুব বেশি নয়। দুইতিন মাসের বকেয়া থাকতে পারে। গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময়ের সব পাওনা পরিশোধ করা আছে।“
আরও পড়ুন: