“এখন প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে সেগুলো দেখে যাচ্ছে; সে কারণে আমরা সেগুলো এখনো আঞ্জুমান মফিদুলকে দিয়ে দিইনি,” বলেন ওসি খালিদ।
Published : 10 Jan 2025, 04:56 PM
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে ‘আঘাতজনিত কারণে’ প্রাণ হারানো ছয়জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে আছে, যাদের পরিচয় এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
এ মৃতদেহগুলোর বিষয়ে শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল।
লিখিত বক্তব্যে সেল সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল তাদের অনুসন্ধানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ৬টি অশনাক্তকৃত লাশ আছে বলে জানতে পারে।
“আজ সকালে সেলের একটি টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য শাহবাগ থানায় যায় এবং শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ খালিদ মনসুর ছয়টি লাশ এখনও হিমাগারে থাকার তথ্য নিশ্চিত করে। লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে আছে বলে তিনি জানান।“
পরে বিশেষ সেলের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে গিয়ে মৃতদেহগুলো দেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হাসান ইনাম বলেন, লাশগুলোর কেবল বয়স জানা গেছে, একজনের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
মৃতদেহগুলোর মধ্যে রয়েছেন অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২০), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২৫), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২২), অজ্ঞাতনামা নারী (৩২), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০) এবং এনামুল নামের ২৫ বছর বয়সী এক যুবক।
লিখিত বক্তব্যে হাসান ইনাম বলেন, লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণ’। আর এনামুলের মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ‘উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু’।
মৃতদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মৃতদেহের পরিহিত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সবগুলো লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক হিমাগারে রক্ষিত আছে।”
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে নিহত ছয়টি লাশ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো ঢাকা মেডিকেল মর্গে সংরক্ষিতে আছে।”
তাদের কারো শরীরে গুলির আঘাত নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
কতদিন লাশগুলো রাখা হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে ওসি খালিদ বলেন, “আমরা ওগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট করেছি, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ছয়টি লাশের মধ্যে পাঁচটির চেহারা বোঝা যায়, একটির চেহারা একটু বিকৃত হয়েছে।
“এখন প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে সেগুলো দেখে যাচ্ছে। সে কারণে আমরা সেগুলো এখনো আঞ্জুমান মফিদুলকে দিয়ে দিইনি। এগুলোর বিষয়ে একটা কমিটি করে দেবেন কমিশনার স্যার (ডিএমপি কমিশনার), সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এগুলোর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”