“বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন নিরাপত্তার জন্য। তিনি এখানেই আছেন।”
Published : 17 Oct 2024, 09:05 PM
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে এখনো ভারতেই আছেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এর বাইরে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।”
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
তিনি ভারতেই আছেন, নাকি অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন, সে নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল কিছুদিন আগে। কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল, ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন হাসিনা। ভারত সরকার তার জন্য ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ ইস্যু করে থাকতে পারে– এমন কথাও বলা হচ্ছিল।
এসব বিষয়ে বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সোয়ালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন নিরাপত্তার জন্য। তিনি এখানেই আছেন।”
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-অগাস্টের প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরুর পর বৃহস্পতিবার দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আদালতের বেঁধে দেওয়া এক মাস সময়ের মধ্যেই শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরানোর ‘সব চেষ্টা করা হবে’।
কোন পদ্ধতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। কী পদ্ধতিতে আনা হবে, পদ্ধতিটা তো গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, কোর্ট বলেছে তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে। অ্যারেস্টের ওয়ারেন্টটা তো আমার কাছে আসে নাই। গেছে নিশ্চয় পুলিশের কাছে। পুলিশ পারবে না, কারণ উনি দেশে নেই।
“তখন আমাদের সম্পৃক্ততার বিষয় আসবে। এটুকু আমার মনে হয় আজকের মত যথেষ্ট। কাজে এটা নিয়ে আপনারা আর যাই প্রশ্ন করেন না কেন, এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।”
শেখ হাসিনার অবস্থানের তথ্যের বিষয়ে এক প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “কোনো স্পেসিফিক তথ্য আসে নাই।তবে আমি যতটুকু আনঅফিসিয়ালি জানতে পেরেছি, যে উনি সম্ভবত দিল্লিতেই আছেন।”
পুরনো খবর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেখ হাসিনাকে ১ মাসের মধ্যে ফেরাতে ব্যবস্থা নেব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা