ইতিহাসের দলিল ‘প্রসাদ: বাঙলাদেশ সংখ্যা’

শান্তা মারিয়াশান্তা মারিয়া
Published : 20 Feb 2016, 09:57 AM
Updated : 20 Feb 2016, 09:57 AM

'ববিতা সম্বন্ধে সঠিক করে কিছু জানা না থাকলেও এটুকু আমরা জেনেছি যে ববিতা ওখানকার প্রখ্যাত অভিনেত্রীদের অন্যতম। অনেক অনেক বাঙলা ও উর্দু ছবিতে অভিনয় করেছেন উনি-'
শুধু ববিতা নন, রয়েছেন কবরী, আজিম, সুজাতা, সুভাষ দত্ত, দিলীপ সোমসহ অনেক তারকার পরিচিতিমূলক লেখা ও সাক্ষাৎকার, কবি নির্মলেন্দু গুণের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ আলোকচিত্র। আমাদের বিজয়ের অব্যবহিত পরে, ১৯৭২ সালে (বাংলা ১৩৭৮) মাঘ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল সিনে ম্যাগাজিন 'প্রসাদ, বাঙলাদেশ সংখ্যা'। ৪৩ বছর পর সেই দুর্লভ সংখ্যাটি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিল বিপিএল।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল অকুণ্ঠ। টালিগঞ্জও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামী চলচ্চিত্রসমাজের পাশে তারা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহযোগিতার হাত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই সম্পর্ক অমলিন ছিল। সে সময় কলকাতার বহু অভিনয় শিল্পী বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের চিত্রতারকারাও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলায়। ১৯৭২ সালে যে ববিতা ছিলেন কলকাতায় প্রায় অপরিচিত, তিনি পরে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়ের 'অশনি সংকেতের' মতো অমর ছবিতে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং তার পরপর পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রচুর সংবাদ, গল্প কবিতা ছাপা হয়েছে। এ ধারায় পিছিয়ে ছিল না 'উল্টোরথ', 'প্রসাদ', 'জলসা'সহ সেসময়ের কলকাতার জনপ্রিয় সিনে ম্যাগাজিনগুলো। সেসব ম্যাগাজিনে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গের পাশাপাশি পূর্ববাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের খবরাখবর, কড়চা প্রকাশিত হয়েছে। এই লেখাগুলো আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো যেমন ইতিহাসের গবেষক ও শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের উৎস তেমনি সাধারণ পাঠকের জন্যও কৌতুহলদ্দীপক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সেসময়ের জনপ্রিয় তারকাদের মূল্যায়ন এবং পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের বাংলাদেশের প্রতি আবেগ অনুভূতির স্বরূপ অনুধাবন করা যায় এই লেখাগুলোর মাধ্যমে।
১৯৭২-এ প্রকাশিত প্রসাদ 'বাঙলাদেশ সংখ্যা'র পাশাপাশি বিভিন্ন জনপ্রিয় সিনে-ম্যাগাজিনে সেসময় প্রকাশিত লেখাগুলো সংকলিত হয়েছে এক মলাটে। বিপিএল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড 'পশ্চিমবঙ্গের সিনে-সাময়িকীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রসাদ' শীর্ষক এই সংকলনটি প্রকাশ করেছে চলতি বছর বইমেলায়।

একটু দৃষ্টি দেওয়া যাক এর সূচিপত্রের দিকে। বাংলাদেশ, বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন প্রসঙ্গে লিখেছেন অন্নদাশঙ্কর রায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বদরুদ্দিন উমর, 'মুক্তি আন্দোলন ও বাঙলাদেশের শিল্পী সমাজ' শিরোনামে তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ লিখেছেন দুলেন্দ্র ভৌমিক। শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সিকান্দার আবু জাফর, হুমায়ূন আজাদ, আবুল আহসান চৌধুরীর কবিতা রয়েছে। গল্প লিখেছেন প্রখ্যাত সিনে সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার সাজাহান চৌধুরী। সাক্ষাৎকার রয়েছে নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল জব্বার, জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, নারায়ণ ঘোষ মিতা, মমতাজ আলি, দিলীপ সোম, বনানী চৌধুরী, কবরী, হাসান ইমাম, আজিম, সুজাতা, কাদেরী কিবরিয়া, রথীন্দ্রনাথ রায়, সমর দাসসহ সেসময়ের পূবর্ববাংলার চলচ্চিত্র ব্যক্ত্বিত্বদের। তাদের কথায় উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার পরিস্থিতি এবং তাদের সংগ্রামের কথা| অবরুদ্ধ ঢাকা থেকে যাদের পালিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের সেই অভিজ্ঞতার জানা-অজানা কথাও রয়েছে এখানে। অভিনেতা আজিম একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন অবরুদ্ধ ঢাকায় মিলিটারি ইন্টিলিজেন্স তার উপর কড়া নজর রেখেছিল। 'অক্টোবর মাসের দশ তারিখ তাকে ঢাকার মার্শাল ল হেড কোয়াটার্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে উনি পনেরো ষোল বছরের ছোট ছোট ছেলেকে বন্দীদশায় পড়ে থাকতে দেখেছেন। এইসব ছেলেদের মুক্তিফৌজ সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে শুনতে পান।…এই সময় তার ওপর নানা নির্যাতনও চালানো হয়।'
দিলীপ সোম তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন বাংলাদেশের শিল্পীসমাজ কিভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে তার ইতিহাস। তিনি ৭ই মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে বলছেন, 'এই বক্তৃতা বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিল সবার প্রাণে। শেখ সাহেবের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ২৪ তারিখে শুনলাম ইয়াহিয়া বেতারে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। ২৫ তারিখে আমাদের শিল্পীগোষ্ঠীর এক সভা ছিল। সভা শেষ করে বাড়ি ফিরছি, মনে তখন একমাত্র চিন্তা-দেশের পরিস্থিতি কোন্ দিকে ঘুরছে। রাত তখন প্রায় এগারোটা। অতর্কিতে রক্তস্নান শুরু হল।' বঙ্গবন্ধু শিল্পীগোষ্ঠীর সংগ্রামের ইতিহাস জানা যায় তার সাক্ষাৎকারে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কাদেরী কিবরিয়া বলছেন 'আজ দুই বাংলার মিলনের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা তো লাভবান হবই।

বিজয় অর্জনের কিছুদিন আগে এবং তার পরেই ঢাকায় অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। পরিশিষ্ট-৬-এ রয়েছে তার আরেকটি লেখা। 'জহির রায়হানকে চিনতাম' শীর্ষক এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল সেসময় 'উল্টোরথ' পত্রিকায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'ঢাকা প্রেসক্লাবে বুদ্ধিজীবী নিধন অনুসন্ধান কমিটির অফিস।..সেগুনবাগিচার ছায়াঘন পরিবেশ ছাড়া ঢাকা প্রেসক্লাবের বাহ্যাড়ম্বর কিছুই নেই। সাধারণ একটি বাড়ি।… তবে জীবন্ত। সব সময় লোক গিজগিজ করছে।' বিজয়ের পর ঢাকায় ফিরেই বড়ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কিভাবে নিবেদিত হয়েছিলেন জহির রায়হান তার অকপট দলিল এই লেখাটি।
'বেহুলা' চলচ্চিত্র সৃষ্টির সময় এবং তার পরে পাকিস্তানী শাসকদের রোষানলের কথা উল্লেখ করেছেন জহির রায়হান। 'চাঁদ সওদাগরের কাহিনী বাংলার লৌকিক কাহিনী। এর একটি সাধারণ মানবিক আবেদন আছে। কিন্তু সেন্সর আর গোঁড়াপন্থীরা ক্ষেপে লাল। আমি নিশ্চয়ই কাফের। নয়তো হিন্দু পুরাণ নিয়ে ছবি তুলব কেন? অথচ বেহুলার মধ্যে আধুনিক যুগের বক্তব্য ছিল|।…অবশেষে অনেক টালবাহানার পর বেহুলা রিলিজ হল বটে, তবে সেই থেকে ঢালাও নির্দেশ জারি হল, পাকিস্তানে কোন হিন্দু দেবদেবীর ব্যাপার নিয়ে ছবি করা চলবে না। শেষে এমন হল যে কোন সিনেমা করার আগে স্ক্রিপ্ট জমা দিতে হয় আমলাদের কাছে।'

পাকিস্তান আমলে আমাদের সংস্কৃতির উপর কী দারুণ নিষ্পেশন চলেছিল এই সাক্ষাৎকার তার একটি অমূল্য দলিল।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় 'সাধারণ মানুষের নৈতিক শক্তির জয়' শিরোনামের বিশ্লেষণধর্মী একটি লেখায় বলছেন,'আমি খুলনার সাতক্ষীরা, যশোর এবং তার আগে-পিছে ১০/১৫ মাইল পর্যন্ত এলাকা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ঘুরেছি। সর্বত্রই অত্যাচার আর নৃশংসতার নিষ্ঠুর চিহ্ন সুস্পষ্টভাবে বিদ্যমান।…আমি আশ্চর্য হয়েছি বাঙলাদেশের মানুষের প্রতিরোধ শক্তি দেখে। যারা মুক্তিবাহিনী ও গেরিলা বাহিনীতে কাজ করেছেন।..এক কথায় সমস্ত শ্রেণীর মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে পড়েছিলেন লড়াইয়ের ময়দানে।…বাঙলাদেশের এই জয়কে তাই বলতে হবে সাধারণ মানুষের নৈতিক শক্তির জয়-ঐক্যবদ্ধ সঙ্কল্পের জয়।' অন্নদাশঙ্কর রায় তার 'বাঙলাদেশ ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ' লেখায় এমন আশাও ব্যক্ত করেছেন,'আয়ারল্যান্ডের লোক যেমন বিনা ছাড়পত্রে ইংল্যান্ডে এসে জীবিকার সংস্থান করে, বাঙলাদেশের লোকও তেমনি বিনা ছাড়পত্রে ভারতে এসে কাজকর্ম জোটাতে পারবে। সেইভাবে বাঙলাদেশের ওপর থেকে অর্থনৈতিক চাপ কমতে পারে।'

সবচেয়ে চমক জাগে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ আলোকচিত্রের সমাহার দেখে। বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্রগুলোর সঙ্গে ক্যাপশনও চমকপ্রদ। একটি কোলাজের ক্যাপশনে রয়েছে, 'ওঃ, অনেক কাজ শেষ হল, অন্তত কাজ শুরু করার প্রাথমিক কাজ তো বটেই। এবার একটু নাস্তাপানি করা যাক, আর তারপর একান্তে বসে আগামী কার্যপন্থার চিন্তা-চিন্তা দুঃস্বপ্নের মত কেটে যাওয়া বিগত দিনগুলোর। তারপর আবার কাজ-হাত নেড়ে বিদায় নেওয়া প্রিয়জনদের কাছ থেকে-' এই কোলাজে রয়েচে বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ ভঙ্গিমার কিছু দুর্লভ ছবি।
বেশ কয়েক পাতা জুড়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি। এই সিরিজের শিরোনাম 'আবার জনতায় জনতার নেতা'।
বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর শুভেচ্ছাবাণীটিও চমক জাগানিয়া।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মম নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞের বেশ কিছু আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে এখানে। ক্যাপশনগুলো পড়ে বোঝা যাবে সেসময়ের পশ্চিমবঙ্গের সহমর্মিতার মনোভাব।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের যে আলোকচিত্রগুলো রয়েছে তা যেমন দুর্লভ তেমনি অসাধারণ সেগুলোর ক্যাপশন। আনোয়ার হোসেন, রোজী, আতিয়া চৌধুরী, কাবেরী দেবী, শাবানা, সুচন্দাসহ অনেকের সিনেমার স্টিল ছবি রয়েছে। আবার 'প্রসাদ' এর নিজস্ব আলোকচিত্রীর তোলা ছবিও রয়েছে। কবরীর কিছু ছবির কোলাজের নিচে ক্যাপশন উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। লেখা রয়েছে, 'হ্যা, খান সেনাদের কলা দেখিয়েই এপারে এসেছি। এসেই আমি তারে তারে সে কথা আমার আপন জনদের জানিয়েছি।
আমাদের স্বাধীনতার স্মৃতিভাস্বর চারটি গান দেখে আবেগতাড়িত হবেন পাঠক 'শোন একটি মুজিবরের থেকে' গানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এবং সুরকার ও শিল্পী অংশুমান রায়ের ছবির সঙ্গে রয়েছে গানটির স্বরলিপি। 'গানের দেশ প্রাণের দেশ ধানের দেশ বাঙলাদেশ' এই গানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এবং সুরকার নীতা সেনের সঙ্গে এইচএমভি স্টুডিওতে এপার বাংলা ওপার বাংলার শিল্পীদের একটি দুর্লভ গ্রুপফটো। ভূপেন হাজারিকার সুরে ও শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় 'গংগা আমার মা পদ্মা আমার মা' এবং গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে 'মাগো তোমার ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে' গানগুলো রযেছে।
সংকলনটির প্রচ্ছদ হিসেবে 'প্রসাদ' এর 'বাঙলাদেশ সংখ্যার' প্রচ্ছদটি ব্যবহার করেছেন শিল্পী রকিবুল হাসান। সেই সময় প্রসাদ যে কাগজে ছাপা হতো এই সংকলনটি সেধরনের কাগজেই ছাপা হয়েছে যাতে পুরনো আমেজ অনুভব করা পাঠকের পক্ষে সম্ভব হয়। নামের বানানগুলো চোখে পড়ার মতো। সেই সংখ্যায় প্রকাশিত সিনে বিজ্ঞাপনগুলোও রয়েছে। যেখানে উত্তম-সুপ্রিয়া, সৌমিত্র-অপর্ণার ছবির বিজ্ঞাপন রয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত মূল্যবান তথ্যের জোগান দিতে পারবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের তথ্যসমৃদ্ধ এই সংকলনটি প্রকাশ করে বিপিএল শুধু ধন্যবাদ পাবার মতো একটি কাজই করেনি, সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্বও পালন করেছে– একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে।

প্রসাদ: বাংলাদেশ সংখ্যা
প্রকাশক: বিপিএল (বিডিনিউজ পাবলিশিং লিমিটেড)
পৃষ্ঠা: ১৮৯
প্রচ্ছদ: রকিবুল হাসান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারী ২০১৫
মূল্য: ৫১০

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে চলমান বইমেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড়ে এ বইসহ বিপিএল-এর অন্যান্য বইও কেনার ‍সুযোগ পাবেন আগ্রহী ক্রেতারা। যারা অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বিপিএল-এর বই কিনতে আগ্রহী তারা এই লিংকটি দেখতে পারেন:http://bpl.bdnews24.com/index.php/