সৈয়দ মুজতবা আলী: জ্ঞান ও অভিজ্ঞতালব্ধ উদারনৈতিক পুরুষ

ধ্রুব সাদিকধ্রুব সাদিক
Published : 11 Feb 2022, 02:43 PM
Updated : 11 Feb 2022, 02:43 PM


'মাতৃভাষা যদি শিক্ষার মাধ্যমের মর্যাদা না পায়, তবে শিক্ষা বস্তুটা অনিবার্যভাবে উপরতলার লোকেদের একচেটিয়া অধিকারে চলে যাবে এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বৈষম্যের ফলে শুরু হবে শ্রেণী সংঘাত।' — সৈয়দ মুজতবা আলী

তৎকালীন পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হয়নি, ১৯৪৭ সালের ৩০শে নভেম্বর ত্রিকালদর্শী সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেট সাহিত্য সংসদে একটি বক্তব্য প্রদান করার কালে বাংলাকে গঠিত-হতে-চলা পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর উত্থাপিত প্রস্তাবটি তৎকালীন সিলেট অঞ্চলের মানুষজন সাদরে গ্রহণ করতে অপারগতা যে শুধু প্রকাশ করেছিলো তাই নয়, প্রস্তাবটির তীব্র প্রতিবাদ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তাকে ফেলে দিয়েছিলো বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে।

ভাষা ও সাহিত্যের নিবিড় পাঠকদের অজানা নয়, নিজভূম, ভাষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি ছিলো সৈয়দ মুজতবা আলীর গভীর দরদ। ফলে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্ফুলিঙ্গের হলকা উদগীরণ হয়েছিলো একদিন যে কিশোরের মগজ থেকে, এটা অনুমিতই যে মাতৃভাষার উপর শাসকের খড়গের বিরুদ্ধে তাঁর মনমগজে উন্মত্ততার রেশ স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়বে। পড়েছিলও। বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব যখন পালন করেছিলেন, ১৯৪৮ সালে সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি প্রবন্ধ চতুরঙ্গ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধটিতে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী জনগণের ভাষার অধিকার সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক দাবিগুলি বিশদে উল্লেখ করায় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকশ্রেণি তাকে শোকজ করেছিল। সৈয়দ মুজতবা আলীও ছিলেন দৃঢ় মেরুদণ্ডওয়ালা মানুষ; অধ্যক্ষ পদের তোয়াক্কা না-করে পদ থেকেই দিয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফা।

তখন ভারতভাগের উত্তেজনার আগুনে সিলেটও উত্তেজিত। পৈতৃক ভিটেমাটিতে বহুকাল ধরে বসবাস করা মানুষজনকে নতুন বাসস্থানের অন্বেষায় দ্বিধাথরথর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছিলো। এদিকে তৎপর কুচক্রীমহলও চেষ্টা করেছিলো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগকে পুঁজি করে বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির। ত্রিকালদর্শী মানুষ সৈয়দ মুজতবা আলী ২৩ বছর পূর্বে যা অনুধাবন করেছিলেন, পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা ৭৩ বছর পর তাঁর কথা অনুধাবন করতে পারি। বলেছিলেন তিনি, 'পূর্বপাকিস্তানের অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি তার ঘাড়ে উর্দু চাপানো হয়, তবে স্বভাবতই উর্দু ভাষাভাষী বহু নিস্কর্মা শুধু ভাষার জোরে পূর্ব-পাকিস্তানকে শোষণ করার চেষ্টা করবে। ফলে জনসাধারণ একদিন বিদ্রোহ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।'


চিন্তা হলো আলোড়ন-বিলোড়নের অপার্থিব যন্ত্রণা। চিন্তাবৃত্তের ঘুরপাকে যারা নিবদ্ধ থাকেন, মূলত চিন্তার অমৃত হেমলক তাঁরা পান করে থাকেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্তকিছুই যন্ত্রণা বিদ্ধ করে তাদেরকে। নিভৃতে সয়ে যেতে হয় তাদেরকে দুনিয়ার সকল যন্ত্রণা। আমাদের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে, কিভাবে মুজতবা আলী এত জ্ঞান থাকার পরও নিজেকে যাবতীয় লোভ-মোহ থেকে নিবৃত্ত করতে পেরেছিলেন। এই প্রেক্ষিতে মনে পড়ে দার্শনিক সক্রেটিসের সাদামাটা জীবন আর চিন্তায় আভিজাত্যের কথাটি কিংবা ডায়োজিনিসের বলা উৎকৃষ্ট জীবন সরলতার কথাটি ভীষণ মানানসই। চিন্তায় মুজতবা আলী ছিলেন অভিজাত আর যাপিত জীবন ছিলো সাদামাটা। ফলে, প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনচেতা এবং ভবঘুরের মতো যাপন করে যাওয়া মুজতবা আলী জীবনে তৃপ্ত হওয়ার প্রজ্ঞাটিও সাথে অর্জন করেছিলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, 'আমার মা বলতো, আমাকে দেখলে যতটা বোকা বলে মনে হয়, আমি ততটা বোকা নই; আর বড়দা বলতো, আমাকে দেখলে যতটা বুদ্ধিমান বলে মনে হয়, আমি ততটা বুদ্ধিমান নই। কোনটা ঠিক জানিনে, তবে আমার স্মৃতি শক্তিটি ভালো সে-কথাটা উভয়েই স্বীকার করতেন।'

যদিও সরল জীবনই ছিলো তাঁর পরম পাওয়া, জ্ঞানেরও তো কিছু-না-কিছু দম্ভ থাকে। কিন্তু মুজতবা আলীর দম্ভ ফাঁপা ছিলো না। সরল মানুষের দম্ভও কতটা সুন্দর হতে পারে, আমরা মুজতবা আলীর উচ্চারিত কথা থেকে অনুভব করি, 'দম্ভভরে বলছি, আমি শঙ্কর কপিল পড়েছি, কান্ট, হেগেল আমার কাছে অজানা নন। অলঙ্কার নব্যন্যায় খুঁচিয়ে দেখেছি, ভয় পাইনি। উপনিষদ, সুফীতত্ত্বও আমার কাছে বিভীষিকা নয়। আমার পরীক্ষা নিয়ে সত্যেন বোসের এক সহকর্মী আমাকে বলেছিলেন, তিন বছরে তিনি আমায় রিলেটিভিটি কলকাতার দুগ্ধবত্তরলম করে দিতে পারবেন। দম্ভভরে বলছি, জ্ঞানবিজ্ঞানের হেন বস্তু নেই যার সামনে দাঁড়িয়ে হকচকিয়ে বলেছি, এ জিনিস? না এ জিনিস আমার দ্বারা ককখনো হবে না, আপ্রাণ চেষ্টা করলেও হবে না। ভাষার দিক দিয়ে আমি একটু সংস্কারের চেষ্টা করেছি। গুরু ও চণ্ডালকে এক পংক্তি ভোজনে বসিয়ে দিয়েছি। গুরুচণ্ডালী দোষ যে আসলে গুণ, গৌড়জনকে তা বোঝাবার চেষ্টা করেছি।'

স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করেননি মুজতবা আলী। অথচ, সৈয়দ মুজতবা আলীকে 'ভারতের দালাল' অপবাদ দিয়ে পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। এদিকে, কলকাতায় জনপ্রিয়তা, সুনাম অর্জন করায় কলকাতার রক্ষণশীল লেখকসমাজ তাকে শুধু ঈর্ষাই করতো না, তারা গুজব ছড়িয়ে বেড়াতো 'মুজতবা আলীর ধর্মনিরপেক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গি একটা আইওয়াশ, আসলে আলী একজন ধুরন্ধর পাকিস্তানি এজেন্ট।' নীচু মানসিকতার ঊনলেখকদের গুজব, অপবাদ যতটা না মানবতাবাদী উদার মানুষ মুজতবা আলীর সারল্যভরা মনকে মাঝেমধ্যে দুঃখে নিমজ্জিত করতো, তার থেকেও বড় দুঃখ পেতেন তিনি তাদের মানসিকতার বিকাশ ঘটেনি বলে। মুজতবা আলী তাঁর গুণগ্রাহী আরেক লেখক শংকরকে বলেছিলেন, 'এক একটা লোক থাকে যে সব জায়গায় ছন্দ পতন ঘটায়, আমি বোধহয় সেই রকম লোক।'


আলোকচিত্র: বন্ধু সাইফুল আলম খানের সাথে সৈয়দ মুজতবা আলী

সৈয়দ মুজতবা আলীর উদার মতাদর্শের ভিত্তি প্রোথিত হয়েছিলো আসলে কিশোর বয়েসেই। ১৯২১ সালে অসহযোগ এবং খিলাফত আন্দোলন চলাকালে সিলেট সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। সে-বছর মুজতবা আলীর কয়েকজন সহপাঠী ব্রিটিশ ডেপুটি কমিশনার জেমস ডসনের বাগান থেকে চুপিসারে ফুল তুলেছিলো সরস্বতী পূজা পালনের জন্য। ঘটনাটি জানার পর জেমস ডসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদেরকে শুধু ডেকে পাঠিয়েছিলো তাই নয়, সরস্বতী পূজা পালনের উদ্দেশ্য ফুল তোলার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদেরকে নির্মমভাবে বেত দিয়ে প্রহার করা হয়েছিলো। শিক্ষার্থীদের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাটি যেন তুমুল স্ফুলিঙ্গের সঞ্চার করেছিলো নবম শ্রেণীর প্রথম বালক মুজতবা আলীর ভিতরে। এর প্রতিবাদে তিনি করেছিলেন কি, শুধু স্কুল বয়কটেরই তিনি ঘোষণা দেননি, সামনে থেকে তিনি বয়কটে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। ঘটনাটি এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলো যে, সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সিলেটে ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার পদে নিযুক্ত মুজতবা আলীর পিতা সৈয়দ সিকান্দার আলীর উপর ব্রিটিশ সরকার চাপ প্রয়োগ করেছিলো। কিন্তু এদিকে দ্রোহী সৈয়দ মুজতবা আলী ব্রিটিশ সরকার পরিচালিত স্কুলে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন সরাসরি প্রত্যাখান।

কতটা উদারনৈতিক মতাদর্শ, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতালব্ধ পুরুষ ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী তার কিঞ্চিৎ ধারণা পাওয়া যায় মুসলিম সংস্কৃতির হেরফের প্রবন্ধটিতে৷ হুমায়ুন কবির সম্পাদিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা চতুরঙ্গ-এ ১৩৪৫-৪৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রবন্ধটিতে সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, 'বাঙালী ভক্তের আধ্যাত্মিক লোক-সাহিত্য সম্পদের সম্পূর্ণ আহরণ এখনও হয় নাই। যেটুকু সন্ধান পাওয়া গিয়াছে তাহার বিশেষ লক্ষণ তাহাতে সর্বধর্মসমন্বয়। বেদান্তের আত্মা পরমাত্মা অনন্যতা, মায়াবাদ, মনসুর অল-হল্লাজে "আনাল হক" বহু গীতে অতি সরল ভাষায় অভিজ্ঞতার অন্তঃস্থল হইতে উচ্ছ্বসিত হইয়াছে। অশিক্ষিত হাসন রাজার তত্ত্বজ্ঞান ও 'স্পর্ধা' দেখিয়া স্তম্ভিত হইতে হয়।'

প্রবন্ধটিতে কবীরের উক্তি 'জীবনের মধ্যেই মৃত্যুকে লাভ করিয়াছেন বিরল তেমন সাধক' উল্লেখ করার পাশাপাশি অভিমান ত্যাগ করে জ্ঞান শিক্ষা করা এবং সদগুরুর সঙ্গে এই সংসার সমুদ্র উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপার উল্লেখ করে সৈয়দ মুজতবা আলী আরও বলেছেন, 'মুসলমান সৃষ্টিতত্ত্বে বৈষ্ণবের লীলার স্থান নাই কারণ ভগবান মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন তাঁহার স্তব করিবার জন্য কিন্তু বাঙালী সূফিরা আত্মাতত্ত্বে লীলার স্থান দিয়াছেন। আর লালনেরই মত পূর্ববঙ্গের কবি সৈয়দ শাহ নুর আপনার শরীরে (ওজুদ) বৈষ্ণব "লীলার কারখানা মৌজুদ" দেখিয়াছেন। তাই উপদেশ দিলেন বৈষ্ণব প্রেমের দ্বারা পঞ্চেন্দ্রিয়ের মোহ কাটাইয়া সত্যরসে পরিপূর্ণ হইতে — তাহাই ফানা। শ্রীচৈতন্যের উদার ধর্ম মুসলমান কবির হৃদয় স্পর্শ করিল, 'বিধর্মী' রূপসনাতনকে 'ফকীর' উপাধি দিয়া পাঙক্তেয় করিল।'


অসম্ভব প্রতিভাবান কিশোর মুজতবা আলীকে বড় স্নেহ করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুজতবা আলীর প্রতি রবি ঠাকুরের স্নেহবাৎসল্য আমরা অনুভব করি তাঁর বলা কথায়। তিনি একবার বলেছিলেন, 'আলীর সবই ভালো, শুধু কথার মধ্যে একটু কমলালেবুর গন্ধ।' এলিয়ট, অক্তাবিও পাস প্রমুখ কবি-প্রাবন্ধিক প্রভাবিত হওয়ার ব্যাপারটি সেই হোমারের কাল থেকে চলে আসা বলে উল্লেখ করেছেন। মুজতবা আলীর রবীন্দ্রনাথের চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। রবীন্দ্রনাথের দ্বারা তিনি কিভাবে প্রভাবিত হলেন সেই ঘটনাটা জানা যাক: 'রবীন্দ্রনাথ প্রশ্ন করেন– কী পড়তে চাও? আমি বললুম, তাতো ঠিক জানিনে তবে কোনও একটা জিনিস খুব ভাল করে শিখতে চাই। তিনি বললেন, নানা জিনিস শিখতে আপত্তি কি? আমি বললুম মন চারিদিকে ছড়িয়ে দিলে কোনও জিনিস বোধহয় ভাল করে শেখা যায় না। গুরুদেব স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, এ-কথা কে বলেছে? আমার বয়স তখন সতেরো, থতমতো খেয়ে বললাম, কনান ডয়েল। গুরুদেব বললেন– ইংরেজের পক্ষে এ-বলা আশ্চর্য নয়। কাজেই ঠিক করলুম, অনেক কিছু শিখতে হবে।'

বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র সৈয়দ মুজতবা আলী মেধা-মনন, নিরলস অধ্যাবসায় সহযোগে নানান বিষয় ও বস্তুর অনন্য ব্যাখ্যা দিতে পারঙ্গমতাবোধ অর্জন করেছিলেন। তিনি আয়ত্ত্ব করেছিলেন সংস্কৃত, সাংখ্য, বেদান্ত, ফারসি, আরবি, রুশ, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান, উর্দু, হিন্দিসহ ১৮টি ভাষা। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতক, জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট, আলিগড় ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীত শিক্ষার পাশাপাশি আয়ত্তাধীন ছিলো তাঁর তুলনামূলক ধর্মচর্চা। শুধু মুখস্থ নয়, অনুধাবন করেছিলেন তিনি সম্পূর্ণ গীতা। রবীন্দ্রনাথের গীতবিতানও ছিলো তাঁর নখদর্পনে।

৪৮ বছর আগে ১৯৭৪ সালের আজকের তারিখে অলোকলোকবাস নিলেও সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর নিজের সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়েই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের হৃদয়পটে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। সৈয়দ মুজতবা আলীকে শুধু স্মরণ নয়, গভীর শ্রদ্ধা জানাই।