এ আয়োজনে এবারই প্রথম ‘আজীবন সম্মাননা’ দেওয়া হয়েছে।
Published : 12 Feb 2023, 08:34 AM
কথাসাহিত্যে মঞ্জু সরকার, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় সালেক খোকন এবং তরুণ কথাসাহিত্যিক শাখায় কিযী তাহনিন পেয়েছেন ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’।
সেই সঙ্গে গবেষণা ও অর্থনীতিবিষয়ক রচনায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এ আয়োজনে এবারই প্রথম ‘আজীবন সম্মাননা’ দেওয়া হল।
শনিবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পূজা সেনগুপ্তের নির্দেশনায় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এছাড়া ফরিদা পারভীন গানে মুগ্ধ করেন সমবেতদের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সমকালের ফিচার সম্পাদক মাহবুব আজীজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবার তিন শ্রেণিতে ৫৭০টি বই জমা পড়েছিল। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি আবিদ আনোয়ার, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. ফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক খালিকুজ্জামান ইলিয়াসকে নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড ২০২১ সালে প্রকাশিত সেরা তিনটি বই নির্বাচন করেন।
কবিতা ও কথাসাহিত্য শাখায় নির্বাচিত হয় মঞ্জু সরকারের উপন্যাস 'উজানযাত্রা'। বইটি প্রকাশ করেছে আগামী প্রকাশনী। প্রবন্ধ, গবেষণা, অনুবাদ, ভ্রমণ ও আত্মজীবনী শাখায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছে সালেক খোকনের গবেষণাগ্রন্থ '৭১-এর আকরগ্রন্থ'। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ। তাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানানো হয় এবং দুই লাখ টাকার চেক, পদক ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা।
এছাড়া কিযী তাহনিনের লেখা 'বুধগ্রহে চাঁদ উঠেছে' গল্পগ্রন্থ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার পায়। বইটি প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। আর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে দেওয়া আজীবন সম্মাননার অর্থমূল্য ৫ লাখ টাকা।
সম্মাননার প্রতিক্রিয়ায় রেহমান সোবহান বলেন, “কোনো গবেষণা ও লেখার কাজ এককভাবে করিনি। সহকর্মীদেরও অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার মতই, প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আরও বহু পথ যেতে হবে।”
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর, সমকালের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, জুরি বোর্ডের সদস্য ফয়জুল লতিফ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠান মঞ্চে।
ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, “এই পুরস্কার ইতোমধ্যে দেশের সাহিত্য জগতে একটি অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে। এই পুরস্কার দেশের লেখক ও সাহিত্যিকদের, বিশেষ করে তরুণ লেখকদের অনুপ্রাণিত করছে। আর পাঠকরা পাচ্ছেন রুচিশীল বই পড়ার সুযোগ। দেশের তরুণ উদীয়মান এবং প্রতিভাবান লেখকদের সৃষ্টিশীল কাজের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এ পুরস্কার। আমরা এই সাহিত্য পুরস্কারের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে গর্বিত।”