প্রবল অজেয় বাণী তব

জীবনের প্রতিটি সংকটে কিংবা উদযাপনে তিনি থাকেন আমাদের সঙ্গে।

গোলাম ফারুক খানগোলাম ফারুক খান
Published : 7 May 2023, 04:29 PM
Updated : 7 May 2023, 04:29 PM

'তিনি কবি অচির মুহূর্তের, প্রত্যুষে অবিস্মৃত স্বপ্নের, জন্মান্তরের অস্পষ্ট স্মৃতির, আর এমন সব সূক্ষ্ম ও পলাতক ইন্দ্রিয়বোধের, যার কোনো নাম আমরা দিতে পারি না। ইঙ্গিতের মহান শিল্পী তিনি।' কবি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এ কথা বলেছেন বুদ্ধদেব বসু। নিজের রূপদর্শিতার নিরিখে নন্দনবাদী বুদ্ধদেব এভাবেই দেখেছেন রবীন্দ্রনাথকে। এও এক দেখার দৃষ্টি। বলা যাবে না যে, তাঁর দেখা এই স্বপ্ন, স্মৃতি আর সূক্ষ্ম ইন্দ্রিয়বোধের কবি রবীন্দ্রনাথ মিথ্যা। 'মানসী' (১৮৯০) থেকে 'গীতাঞ্জলি' (১৯১০) পর্যন্ত -- মোটামুটি রবীন্দ্রকাব্যের যতটুকু বুদ্ধদেবের প্রিয়, তার মধ্যে -- এমন একজন রবীন্দ্রনাথকে অবশ্যই খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু না বলে উপায় নেই, 'ইঙ্গিতের মহান শিল্পী' এই রবীন্দ্রনাথ গোটা রবীন্দ্রনাথের একটি অংশ মাত্র। কবি নিজেই বলেছিলেন তিনি 'নানা রবীন্দ্রনাথের একখানি মালা।' সম্পূর্ণ রবীন্দ্রনাথ অনেক বড়, অনেক ব্যাপ্ত, বাস্তবের কঠিন মাটি আর ঊর্ধ্বলোকের গাঢ় নীলিমায় ছড়ানো এক বিশাল মহীরুহ।

সুদূর ছেলেবেলায় যখন রবীন্দ্রনাথের নাম জেনেছিলাম, তখন তাঁকে পড়ার দৌড় ছিল 'আমাদের ছোট নদী,' 'বীরপুরুষ' ইত্যাদি কয়েকটি কবিতা পর্যন্ত। বাড়িতে একটি গ্রামোফোন ছিল। আব্বাস উদ্দিন আহমদ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং জগন্ময় মিত্রদের অনেক গানের পাশাপাশি সেখানে একটি গান ছিল সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া: 'চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে উছলে পড়ে আলো...।' অন্যসব গানের মতো করেই এ গানটিও কৈশোরে শুনেছি অনেকবার। আলাদা কিছু মনে হয়নি। জানতামও না যে, এটি রবীন্দ্রনাথের গান। 

কিন্তু কী যে হলো ১৯৭১ সালে, এই সুচিত্রা মিত্রের কণ্ঠই আমার চেতনায় আশ্চর্য এক 'আনন্দগান' বাজাল 'ব্যথার বাঁশিতে।' এপ্রিলের এক ঝড়ের রাত শেষ হলে ভোরবেলায় উদ্ভ্রান্তভাবে বাড়ির পেছনে এলোমেলো বনে ফুল-ফল-পাতা কুড়াচ্ছিলাম। তখন দিগন্তের ওপরে বলক দিয়ে উঠছিল ধোঁয়ার কুণ্ডলী আর মাটি কাঁপাচ্ছিল ধাবমান পাকিস্তানি বর্বরদের কামানের গর্জন। চোখে কোনো আশার আলো ছিল না। হঠাৎ শুনতে পেলাম আকাশবাণী কলকাতা বেতার থেকে ভেসে আসা এই জীবনদায়ী বাণী: 'কোন বনেতে জানি নে ফুল গন্ধে এমন করে আকুল,/কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে।/আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো,/ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে।।' সেই ঝড়ে ছত্রখান বন, চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফুল, মেঘের ফাঁক দিয়ে আকাশ থেকে ঠিকরে পড়া আলো আর সর্বোপরি বিপন্ন স্বদেশের ভাবনা অন্য এক বোধের জাগরণ ঘটাল আমার সত্তায়। রবীন্দ্রনাথের চোখ দিয়ে আমি চিরন্তন বাংলাদেশকে চিনলাম। এক অদ্ভুত নির্ভরতা পেলাম তাঁর বাণীতে। পরের নয়মাস শুধু কান পেতে রাখতাম আকাশবাণী আর স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে -- কখন শুনব 'আমার সোনার বাংলা,' 'আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে,' 'বাংলার মাটি বাংলার জল' ইত্যাদি গান। আমার মতো আরো অনেকের ক্ষেত্রেই নিশ্চয় এমনটি ঘটেছে। এভাবেই বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন 'শাশ্বতের সন্ধানী' রবীন্দ্রনাথ। কেমন করে তা সম্ভব হলো!

রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীর মহত্তম জীবনশিল্পীদের একজন। তাঁর 'হৃদয়ের অসংখ্য অদৃশ্য পত্রপুট' চারদিকে 'গুচ্ছে গুচ্ছে অঞ্জলি মেলে' নিরন্তর 'আলোকের তেজোরস' শুষে নিয়েছে। 'মুক্তধারা' (১৯২২) নাটকের ধনঞ্জয়ের মতো তিনিও জানতেন যে, 'জগৎটা বাণীময়' এবং তার যেদিক থেকে শোনা বন্ধ করা হয় সেদিক থেকেই মৃত্যুবাণ আসে। এই অভিজ্ঞান রবীন্দ্রনাথের ছিল বলেই জীবনসত্যের বহুকৌণিক রূপ হীরের মতো ফুটে উঠেছে তাঁর অজস্র কবিতায়, গানে, নাটকে, কথাসাহিত্যে, প্রবন্ধে। এক সদা-রূপান্তরশীল শিল্পী হিসাবে প্রতি মুহূর্তেই তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন, বেড়ে উঠেছেন নিজের মাপের চেয়ে বেশি। আজ এক ভাবনায় প্রাণমন সঁপে দিয়েছেন তো কাল শুরু করেছেন নতুন ভাবনা। একেকটি চিন্তার মধ্যে রেখে দিয়েছেন প্রতিচিন্তার বীজ। এজন্যই বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে তিনি কঠোর ভাষায় জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করলেও বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পেরেছিলেন অনায়াসেই।

আমাদের জীবনের প্রতিটি দুঃখ ও আনন্দের মুহূর্তের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা তাঁর লেখা পড়তে পারি, তাঁর গান শুনতে পারি। জীবনের প্রতিটি সংকটে কিংবা উদযাপনে তিনি থাকেন আমাদের সঙ্গে। আমাদের দিনযাপনের নানা অভিজ্ঞতার নির্যাস ঝিলিক দিয়ে ওঠে তাঁর বাণীতে। যে কথা আমার মনে গুমরে উঠছে বার বার বেদনার ঝংকার তুলে কিন্তু উচ্চারিত হতে পারছে না আকার পাচ্ছে না বলে, সে কথাটি মুক্তোর মতো ফুটে ওঠে তাঁর কথায়, কবিতায়, গানে। তিনি যখন বলেন: 'যে কথা মম অন্তরে আনিছ তুমি টানি/জানি না কোন মন্তরে তাহারে দিব বাণী' তখনও আমরা জানি যে, আমাদের সবার মনের কথার মন্ত্রসম বাণীরূপ তিনিই দিতে পারেন। এভাবে সবার আশা এবং নিরাশার কথা, ব্যক্তি এবং সমষ্টির কথা, দেশ এবং বিশ্বের কথা বলতে পেরেছেন বলেই তিনি হয়ে উঠতে পেরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ অক্সফোর্ডে গেলেন হিবার্ট লেকচার্স দেওয়ার জন্য। ভারতবর্ষ তখন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। এক সন্ধ্যায় তিনি যখন অক্সফোর্ডে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'মজলিশে' উপস্থিত, তখন হঠাৎ বামপন্থী ছাত্রনেতা সাজ্জাদ জহির প্রশ্ন করে বসলেন: 'কবি, আজ আপনি এখানে কেন? আমাদের দেশ যে আজ মাতোয়ারা, গান্ধীজির পাশেই কি আপনার স্থান নয়? আমাদের মন যে তাই চাইছে!' তিনি চঞ্চল হয়ে ছাত্রদের উদ্দেশে বললেন: 'তোমাদের আবেগ আমি বুঝি। তবে তোমরা বুঝবে কি না জানি না, মহাত্মাজি বোঝেন, আমার অস্ত্র হলো ভিন্ন। দেশ থেকে দেশান্তরে ভারতবর্ষের চারণ হয়ে আমি ঘুরি, স্বাধীনতার লড়াইয়ে এটাই আমার কাজ।' তারপর ভার-ভার গলায় 'চয়নিকা' থেকে পড়লেন তাঁর অসাধারণ কবিতা 'দুঃসময়': 'যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে/সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,/যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,/যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,/মহা-আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,/দিক-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা,/তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,/এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।।' এই কবিতা থেকেই ঘনায়মান অন্ধকারের ভেতরেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র পেয়ে গেলেন অনুযোগকারী শিক্ষার্থীরা।

কবি নিজেও জানতেন, মন্ত্রের উজ্জীবনী শক্তি আছে তাঁর অনেক বাণীতে। ধস্ত, বিমূঢ়, ম্রিয়মাণ চিত্তে তা জাগিয়ে তুলতে পারে নতুন স্বপ্ন ও আশা। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে 'প্রথম দিনের সূর্য' কবিতার শ্রুতিলেখন দিলেন রানী চন্দকে। মন অস্থির ছিল সেদিন। কারণ প্রথম দিনের সূর্য যে প্রশ্ন করেছিল তাঁর কাছে, এত বছর পরেও তো তার উত্তর মিলল না। পশ্চিম সাগরতীরে সন্ধ্যা আজও নিরুত্তর, নিস্তব্ধ। যেন নিজেকে অভয় দেওয়ার জন্যই রাণী চন্দকে বললেন: 'সেই কবিতাটা বল তো একবার কাছে বসে, শুনি, "বিপদে মোরে রক্ষা করো"।' রাণী চন্দ মনে করতে পারলেন না। 'গীতাঞ্জলি' এনে কবিকে শোনানো হলো শেষ পর্যন্ত। তখন রাণীকে বললেন: 'এইসব কবিতাগুলি মুখস্থ করে রেখে দিস -- এগুলো মন্ত্রের মতন।'

মন্ত্রের মতোই যদি না হবে এসব, তাহলে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গের প্রেরণা নিতে কেন রবীন্দ্রনাথের কাছে হাত পাতবেন বার বার! বিপ্লবী বিনয়, বাদল আর দীনেশ রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ঢুকে কর্নেল সিম্পসন এবং অন্য কর্মকর্তাদের আক্রমণ করার আগে অজ্ঞাতবাসে বসে আবৃত্তি করেছেন 'চিত্রা' কাব্য থেকে: 'শুধু এইটুকু জানি তার লাগি রাত্রি-অন্ধকারে/চলেছে মানবযাত্রী যুগ হতে যুগান্তর-পানে/ঝড়ঝঞ্ঝা বজ্রপাতে জ্বালায়ে ধরিয়া সাবধানে/অন্তরপ্রদীপখানি।.../তার পরে দীর্ঘ পথশেষে/জীবযাত্রা-অবসানে ক্লান্তপদে রক্তসিক্তবেশে/উত্তরিব একদিন শ্রান্তিহরা শান্তির উদ্দেশে/দুঃখহীন নিকেতনে।' এমন নয় যে রবীন্দ্রনাথ সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের সব কাজের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। বরং 'ঘরে বাইরে' ও 'চার অধ্যায়' উপন্যাসে এবং আরো নানা লেখায় এই প্রক্রিয়ার অনেক গলদই তিনি তুলে ধরেছিলেন। তবু এই বিপ্লবীরা অনুপ্রেরণার জন্য রবীন্দ্রনাথের কাছেই হাত পেতেছেন বারবার।

ইয়োরোপীয় সভ্যতার অনেক উজ্জ্বল অবদানের জন্য কবি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন জীবনের নানা পর্যায়ে। কিন্তু তাই বলে সাম্রাজ্যবাদ আর ফ্যাশিবাদের নগ্ন, আগ্রাসী চরিত্রকে ধিক্কারে জর্জরিত করতে ভোলেননি তিনি। ১৯৩৫-৩৬ সালে মুসোলিনির ইতালি যখন আবিসিনিয়া দখল করল, তখন লিখেছিলেন উদ্যত বল্লমের মতো কবিতা 'আফ্রিকা': 'এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে/নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,/এল মানুষ-ধরার দল/গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।/সভ্যের বর্বর লোভ/নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।/তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে/পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে,/দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়/বীভৎস কাদার পিণ্ড/চিরচিহ্ণ দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।।' লুণ্ঠিত-নির্যাতিত কালো আফ্রিকার পক্ষে, সাদা মানুষদের হাতে অত্যাচারিত সব জাতি আর জনগোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিবাদের অক্ষর হিসাবে এই কবিতা চিরদিন জ্বলজ্বল করবে।

আমাদের সঙ্গে আরো আছে এবং থাকবে প্রতীচ্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের শেষ উচ্চারণ -- নিজের আশি বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া সেই বেদনাহত, মোহমুক্ত ভাষণ যা 'সভ্যতার সংকট' নামে পরিচিত। মানবসভ্যতার বিকাশে প্রতীচ্যের অবদান স্বীকার করেও তীব্র ধিক্কারে বিদ্ধ করেছেন তার বর্বরতাকে: '...সমস্ত য়ুরোপে বর্বরতা কী রকম নখদন্ত বিকাশ করে বিভীষিকা বিস্তার করতে উদ্যত। এই মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার মজ্জার ভিতর থেকে জাগ্রত হয়ে উঠে আজ মানবাত্মার অপমানে দিগন্ত থেকে দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কলুষিত করে দিয়েছে।' কবি যখন এ ভাষণ দেন তখন প্রতীচ্য-প্রযোজিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা সমানে চলছে। আজকেও তো প্রতীচ্যের বর্বরতাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেতে বিমূঢ় করে তুলছে আমাদের। তবে কবির শেষ কথায় ছিল  সারাজীবনের প্রত্যয়ের সারাৎসার সেই ওজস্বী শুভচেতনা: 'কিন্তু, মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে। আর-একদিন অপরাজিত মানুষ নিজের জয়যাত্রার অভিযানে সকল বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে তার মহৎ মর্যাদা ফিরে পাওয়ার পথে।'

 একটি গানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন: 'তুমি না কহিলে কেমনে কব প্রবল অজেয় বাণী তব...।' এই বিনম্র আত্মভাষণ সত্ত্বেও আমরা ভালো করেই জানি কী 'প্রবল অজেয় বাণী' তিনি রেখে গেছেন আমাদের জন্য! এইসব জীবনলিপ্ত বাণীর অজস্রতায় প্রতিদিনই তো তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। জন্মদিনে আরো বেশি করে থাকুন।