Published : 24 Oct 2021, 10:46 PM
বসে আছে কার্নিশে ছায়া আর রোদ
উঠে এসেছে কাঁধে সূর্যের লাশ
আমার ছায়ার মুখে বলছে কথা একশত বলিরেখা-
জানি না কীভাবে এতো ভালবেসেছিলাম!
যে আলো ছুঁয়ে আছে তোমাকে
তারই ছায়া ঢেকে রেখেছে আমাকে
বন্দর আর সমুদ্রে থমথমে রোদ
আসমান থেকে যাদুকর মারছে ছুড়ে মুঠো মুঠো ধুলো।
অন্ধ হয়ে যাচ্ছি। অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আমি।
তুমি ঘুরে বেড়াচ্ছ পাঁচ তারকা জাহাজে
তোমার সঙ্গীত নৃত্য ক্যাপ্টেনের অহংকার
এমন নিষ্ঠুর শনিবারে বলরুমে।
দুপুরের আকাশে নক্ষত্রের গুঞ্জন।
নেমেছে তুমুল বর্ষণ ওড়ছে সিম্ফনি।
বাদামী হরিণ, অস্থির হয়ো না তুমি
করুণ চোখে সুখি হয়ে যাও বলরুমে
যাদুকর আমাকে করেছে স্মৃতিভ্রষ্ট।
ভুলে গেছি তোমার নাম…তবুও ডাকছি তোমাকে।
তুমি কি ডাকছো আমাকে!
আমার নাম ভুলে যাওনি! আমিতো বধির হয়ে গেছি
তোমার ঠোঁটে আগের মতোই ফুটছে শিউলি
তোমার আঙুল মেপে নিতো আমার ঠোঁট
এখন ক্যাপ্টেনের পিয়ানোতে উঠাচ্ছে সিম্ফনি
তোমার বিষন্নতার জাল বেয়ে উঠে যাচ্ছে
ক্যাপ্টেনের অ্যাক্রোবেটিক ক্লাউন
একদিন তোমার রক্তকণিকা হয়ে অনুভব করেছিলাম
কোষের নিঃশ্বাস, বিষণ্নতায় মুখ রেখে পড়েছিলাম সারারাত।
তোমার বাম অলিন্দে বসে দেখেছি সূর্যোদয়
আজ আমার অস্থির রক্তে ঢুকে গেছে তোমার বিষন্নতা।
আর ক্যাপ্টেনের যাদুকর আমাকে বানিয়েছে বামন
পথে নামিয়ে নিয়ে গেছে পথ
শৈশব বিহীন শিশু বানিয়ে ফেলে গেছে জনশূন্য রেলস্টেশনে।
আমি আটকে যাচ্ছি স্মৃতির গোলকধাঁধায়।
আর বালি হাতরে হাতরে বের করতে চেয়েছি
শৈশবের হারানো নুড়ি পাথর অথচ
উঠে আসছে আততায়ীর হারানো বুলেট
আমার পা ডুবে যাচ্ছে বালিতে।
যাদুকর হাওয়া করে দিয়েছে আমার বাগান
ক্যাপ্টেনের চোখ উবে দিয়েছে আমার ঘর
স্বপ্নগুলোকে বানিয়ে দিয়েছে একেকটি পঙ্গু ছায়া
যার স্তন নেই যোনি নেই মৃত্যুভয় নেই
তবুও জাহাজ থেকে আবার ভেসে আসছে লোলুপ হুইসেল।
কেন হাত কাঁপছে আততায়ীর
চিত্রকর কেনো আঁকছে না আমার মৃত্যুকাল
কেন যাদুকরের ঠোঁট কাঁপছে ক্যাপ্টেন কেন আজ দ্বিধাগ্রস্ত
আমি বামন থাকতে চাই অন্ধ বধির।
স্মৃতিভ্রষ্ট পথহীন থাকতে চাই।
তবুও বলরুমে তুমি সুখি হয়ে যাও…