ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের জন্য পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) পাঁচ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
Published : 06 Feb 2019, 06:47 PM
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৪২০ কোটি টাকার মত। এই অর্থের ৭০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে ব্যবহার করবে পিকেএসএফ।
লন্ডন আন্তঃব্যাংক সুদ হার (লাইবর) অনুযায়ী সুদ দিয়ে ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে এডিবি। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন পারকাশ এ চুক্তিতে সই করেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
এছাড়া পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ আরও একটি চুক্তিতে সই করেন।
ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, “সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এডিবির এ ঋণ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।”
মনমোহন পারকাশ বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা খুবই সীমিত। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে অর্থায়ন করা হবে।
“বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের আয় বাড়াতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।”
পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম অনুষ্ঠানে বলেন, “দেশের যেসব এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক শিল্পের বিকাশ ঘটেছে, সেসব স্থানে শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে এ ঋণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে যারা পরিবারভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলছেন, তাদেরকেই ঋণ দেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে পিকেএসএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ১২ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেবেন তারা।
তিনি বলেন, যেসব উদ্যোক্তা জমির দাম বাদ দিয়ে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন, তারাই এ ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বিবেচিত হবেন। এ প্রকল্প থেকে একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।