ইয়াহুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা দুই বছর ধরেই জানে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ তাদের নেটওয়ার্ক হ্যাক করা হয়েছিল!
Published : 11 Nov 2016, 04:14 PM
একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল এখন তদন্ত করে দেখছে যে ঠিক কী পরিমাণ তথ্য চুরি হয়েছে এবং কার দ্বারা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইয়াহু যখন প্রথমবারের মতো তাদের লাখো গ্রাহকের তথ্য চুরির বিবরণ প্রকাশ করে তখন তারা শুধু একটি “সাম্প্রতিক তদন্ত”-এর কথা উল্লেখ করে। একই সময় ভেরাইজনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঐ সপ্তাহেই শুধু নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
এই ঘটনার ফলে ভেরাইজনের সঙ্গে তাদের চুক্তির বিষয়টি বাতিল বা বিক্রয়ের শর্তাবলী এবং মূল্যও পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করছে ইয়াহু। বিবিসি জানিয়েছে ইতোমধ্যেই অনেকেই ধারণা করছেন যে, সম্ভবত ইয়াহু আগে থেকেই এই হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি জানত।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ইয়াহু ২০১৪ সালের শরতে একটি নিরাপত্তা ফাটল খুঁজে পেয়েছিল এবং তাদের বিশ্বাস এটি চালু করা হয়েছিল রাশিয়ান কোন কম্পিউটার থেকে। তবে পত্রিকাটি জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানেনা দুইটি হামলার মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কি না?
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে সর্বশেষ ফাইলিংয়ে ইয়াহু স্বীকার করেছে যে টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইন্টারনেট অপারেশন অংশ বিক্রয় সংক্রান্ত ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করবে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ইয়াহু জানায়, ২০১৪ সালের এক ডেটা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০ লাখ ব্যবহারকারীর নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস, টেলিফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ আর এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ড বেহাত হয়ে যায়। ঐ সাইবার হামলার পেছনে কোনো দেশের 'রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা' রয়েছে বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক এই অভিযোগটি চ্যালেঞ্জ করেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ২০১৪ সালে চিহ্নিত করা তাদের নেটওয়ার্কের উপর ‘রাষ্ট্র-সমর্থিত হ্যাক’ এর ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে একটি তীব্রতর বৃহত্তর পর্যালোচনা চলমান আছে এবং সব কিছু পুনঃপরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর ড. জ’স রাইট বলেন, অনেক সময়ই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ঘটনা গোপন রাখে কারণ তারা ভাবে যে সম্ভবত তারা সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এটা তাদের সম্মানের সঙ্গেও জড়িত। কিন্তু এই বিষয়ে শক্ত আইন থাকা উচিৎ যাতে অবশ্যই গ্রাহকদের সবার আগে এই সংক্রান্ত যে কোন ঘটনা জানানো হয়।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ইয়াহু তাদের সার্ভারে নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়টি স্বীকার করলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয় কোনো ডেটা চুরি হয়নি।