ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অ্যাডোবি’র আয় বাড়ছে এবং ভারত এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে প্রতিষ্ঠানটির এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে।
Published : 03 May 2016, 12:57 AM
প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়া শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উমাং বেদি আইএএনএস-কে জানান, "গত বছর অ্যাডবি’র মোট আয় ছিলো ৪৮৯.৬ কোটি ডলার এবং এতে এশিয়া-প্যাসিফিকের অবদান ছিলো সম্পূর্ণ আয়ের শতকরা প্রায় ১৪ শতাংশ।"
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানায়, ভোক্তা সন্তুষ্টি অর্জন এবং আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাম্প্রতিককালে ভারতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি’র ডিজিটাল মার্কেটিং সলিউশন সাবস্ক্রাইব করেছে। বেদি বলেন, "দেশটির প্রাদেশিক অঞ্চলগুলোতে আমাদের প্রধান কিছু ভোক্তা রয়েছে। বর্তমানে আমরা গুজরাটি, কানাড়া, মালয়ালাম এবং বাংলা সহ প্রায় ১০টি প্রাদেশিক ভাষায় সেবা দিয়ে থাকি।"
অ্যাডোবি ডিজিটাল মার্কেটিং সলিউশনস ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান তাজ হোটেল গ্রুপ- এর রাজস্ব কর্মকর্তা চিন্ময় শর্মা আইএএনএস-কে জানান, ভোক্তাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৭৫ শতাংশই অনলাইনে বুক বা সার্চ করে থাকেন।
তিনি বলেন, "সবচেয়ে ভালো বিকল্পগুলো খুঁজে বের করতে তারা ডেস্কটপ ও স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। এর মানে দাঁড়ায়, ডিজিটাল মার্কেটিং-এ ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আমরা যদি একে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তবে প্রত্যেক ভোক্তার জন্য আলাদাভাবে পরিবর্তিত মেসেজিং ব্যবহার করতে সহায়তা করবে, যা তাদের আরও সফলভাবে বেছে নিতে সহায়তা করবে। আমরা তাদের অসাধারণ কিছু অগ্রিম সুযোগ এবং যাত্রাপথের দিকনির্দেশনা দিতে পারি।"
অ্যাডোবিকেই কেন ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে বেছে নেওয়া হল - এমন প্রশ্নের জবাবে শর্মা জানান, কৌশলগত ও শিল্পগত উভয়ক্ষেত্রেই অ্যাডোবি’র ডোমেইন সংক্রান্ত জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে।
তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠান চেয়েছিলাম, যেখানে তথ্য জমা রাখা যাবে এবং এক জায়গা থেকেই এতে প্রবেশ করা যাবে। আমরা অ্যাডোবি এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার (এইএম) সেবা ব্যবহার করেছি এবং এতে সবচেয়ে বড় সুবিধাটি ছিলো ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন, ডেস্কটপ ও ট্যাবলেট থেকে সহজেই এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।"
তিনি আরও জানান, "বুকিং ইঞ্জিনে ক্লিকের সংখ্যা শতকরা ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। মানুষ এ ওয়েবসাইট আরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছেন - যা আগের ১২২ সেকেন্ড থেকে বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪ সেকেন্ডে। এ ছাড়াও ফেরতের হার আগের শতকরা ৫৫ শতাংশ থেকে ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে।"