সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন।
Published : 23 Jul 2017, 10:15 AM
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় বলে সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অন্তু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাইম, ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুউল্লাহ আল মাসুদ ও সীমান্ত।
ওই চারজনই সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর এলাকায় ধূমপান করা নিয়ে ইমরান গ্রুপের অনুসারী সাজ্জাদ ও তন্ময়ের সঙ্গে সবুজ গ্রুপের অনুসারী মনিরুজ্জামান মনির বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে মনিরের সঙ্গে থাকা কর্মীরা তন্ময়কে মারধর করলে উভয়পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়।
এসময় সবুজের অনুসারীরা শাহপরাণ হলে গিয়ে ইমরানের গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি কক্ষ ও দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, “জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটু ঝামেলা হয়েছে। পরে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।”
আর সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, “এটা জুনিয়রদের অর্ন্তকোন্দল। সমাধান হয়ে গেছে।”
প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।”
গত ৮ এপ্রিল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে দুই তরুণ-তরুণী ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধরের শিকার হন। এর প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের অনুসারীরা দুই সাংবাদিকের ওপরও হামলা করেন।
ওই ঘটনার পর গত ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে স্থগিত করা হয়।