রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা দেড়টায় এনামুল হক (৪০) ও মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাজেদুল ইসলাম (৪৫) নামে দুইজন মারা যান।
এর আগে নিহত ১৩ জনের মতো এই দুইজনও ওই মিলের শ্রমিক ছিলেন। তারা সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে ১৯ এপ্রিল বয়লার বিস্ফোরণে ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জনের মৃত্যু হলো।
চিকিৎসক মারুফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন চার শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আর সুস্থ হওয়ায় একজনকে রোববার রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন মিয়ার (৩৫) অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সারওয়ার জাহান। ঢাকা পাঠানোর আগে সুমনকে এ হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার এ কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।