রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোরঞ্জন রায় (৩৬) নামে একজন মারা যান।
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে বুধবার বয়লার বিস্ফোরণে ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের রংপুর ও দিনাজপুরে ভর্তি করা হয়।
সোমবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
চিকিৎসক মারুফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন আট শ্রমিকের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে তিনজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বাকি দুইজনের অবস্থা উন্নতির দিকে।”
আর দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুইজন। তাদের মধ্যে রোববার রাতে রিপন মিয়ার (৪০) মৃত্যু হয়। আর সুমন মিয়াকে (৩৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক সারওয়ার জাহান।
ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।