রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফুল ইসলামের (৩০) মৃত্যু হয়।
দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের আরিফুল যমুনা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন।
সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বয়লার বিস্ফোরণে নারীসহ ২১ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকালে ও রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জণা রায় (৪০) ও মোকছেদ আলীর (৪৮) মৃত্যু হয়। দগ্ধ আরও ১৬ জনকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাকি দুই জনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রংপুর মেডিকেলের চিকিৎসক মারুফুল বলেন, “বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ১৬ শ্রমিকের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন তারা।”
তবে বাকি দুই জনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
দগ্ধদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে হাসপাতালের পরিচালক মউদুদ আহমেদ জানান।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সারওয়ার জাহান বলেন, “দগ্ধ দুই পুরুষ শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।”
এ ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মীর খায়েরুল আলম জানান।