ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক ওবায়েদের বোন ও ভগ্নিপতিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় আটক করেছে পুলিশ।
Published : 30 Aug 2016, 05:05 PM
বীরগঞ্জ থানার ওসি আবু আককাছ আহম্মদ জানান, মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামের বাড়ি থেকে সোমবার রাতে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার রমনা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন ওবায়েদের বোন খাদিজা বেগম (৩৬) ও ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলাম (৪৬)।
তাদের বীরগঞ্জ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
খাজিদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে ওবায়েদ এখানে আসে। বিশ্রাম নিয়ে দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, আর আসেনি।
ঢাকায় একটি হত্যাকাণ্ডে তাকে খোঁজা হচ্ছে- এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না বলে খাদিজার দাবি।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওবাইদুলকে সোমবার দুপুরে বীরগঞ্জের লাটেরহাট বাজারে দেখা গেছে। তার এই অপকর্মের খবর এলাকার কেউ জানে না।”
বীরগঞ্জ থানার ওসি আবু আককাছ আহম্মদ বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে রমনা থানা পুলিশ কাজ করছে। বীরগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে।
গত বুধবার দুপুরে স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে এক যুবক রিশার পেটে ও হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। তিনদিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
১৪ বছর বয়সী রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ‘বি’ শাখায় পড়ত।
রিশার মা তানিয়া বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশের ভাষ্য, কয়েক মাস আগে ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন।
ওবায়েদ নামে দোকানটির এক কর্মচারী ওই নম্বরে ফোন করে প্রায়ই রিশাকে বিরক্ত করতেন। পরে রিশার মা ওই সিমটি বন্ধও করে দিয়েছিলেন। তানিয়া বেগমের ধারণা, ওবায়েদই রিশাকে ছুরি মেরেছেন।
ওবায়েদকে আসামি করে রমনা থানায় মামলাও করেছেন তানিয়া বেগম।
ওবায়েদের বাড়িও বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। সেখানে বোন ও ভগ্নিপতি ছাড়া কেউ থাকে না। বাবা-মা মারা গেছেন।