বগুড়ার গাবতলীর সোনারায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে আহত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
Published : 10 Jul 2016, 02:47 PM
শনিবার রাতে বগুড়ার ‘তেসলা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে’ অস্ত্রোপচার শেষে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে নিউরোসার্জন মো. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তারাজুল এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে তিনি আহত হন।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম আজম খান জানান, গুরুতর অবস্থায় তারাজুলকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে অস্ত্রোপচার সম্ভব না হওয়ায় রাতেই তাকে বগুড়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
নিউরোসার্জন ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “রাত ১১টা থেকে দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে তারাজুলের মাথা থেকে বুলেট বের করা হয়েছে।
অস্ত্রোপচার ‘সফল’ হয়েছে দাবি করলেও তারাজুলকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
সোনারায় ইউনিয়নের জসমোতুল্লাহর ছেলে তারাজুল বগুড়া শহরে থাকেন। পবিারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। গরমের কারণে শুক্রবার জানালা খুলে স্ত্রী-সন্তানসহ ঘুমিয়েছিলেন তিনি।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা জানালা দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করলে মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ হন তারাজুল। ঢাকায় নেওয়ার আগে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এলাকায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে তার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ চলছিল বলে গাবতলী থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানিয়েছেন।
তবে তাকে সে কারণেই গুলি করা হয়েছে কিনা- তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।