প্রথমবারের মতো দেশের অবকাঠামো ব্যবহারের নির্ধারিত ট্রানসশিপমেন্ট ফি তথা ‘মাশুল’ দিয়ে যাওয়া ভারতীয় পণ্য ত্রিপুরায় পৌঁছেছে।
Published : 19 Jun 2016, 08:28 PM
রোববার বিকালে চারটি গাড়িতে করে ৮৪ টন রড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করে।
পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা আনবিস ডেভেলপমেন্টের ইনচার্জ মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, পুলিশ পাহারায় আশুগঞ্জে থেকে এসব গাড়ি আখাউড়ায় আনা হয়।
বাকী মালামাল একই পদ্বতিতে পর্যায়ক্রমে আগরতলায় যাবে বলে জানান তিনি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তাকজিল খলিফা কাজল ভারতের দায়িত্বে থাকা ডারসেল লজিস্টিক লিমিটেডের ম্যানেজার সজিত রায়ের কাছে পণ্যের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন। এ সময় দুদেশের কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরের ওয়্যারহাউজে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে সংশোধিত প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির পর এই প্রথম মাশুলসহ পণ্য পরিবহন করতে যাচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল আদায় করা হবে।
এছাড়া ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, অবস্থান ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জসহ জাহাজটি থেকে বাংলাদেশ দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা পাবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, সাপ্তাহিক ছুটি ও কাগজপত্র প্রক্রিয়া করার জটিলতায় পণ্য নিতে দুদিন দেরি হয়েছে।