বয়স মাত্র চার। তবে দেখলে মনে হয় বৃদ্ধ। আর অস্বাভাবিক এ অবস্থা নিয়েই বেড়ে উঠছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের বায়েজিদ।
Published : 23 May 2016, 07:52 PM
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের মতো চেহারা নিয়েই ভূমিষ্ট হয় বায়েজিদ। দিন দিন তার শরীরে বার্ধক্যের ছাপ আরও প্রকট হতে থাকে।
জন্মের পর বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েও কোনো ফল পাননি বলেও জানান তারা।
চিকিৎসকদের ধারণা, ‘জিনগত’ সমস্যায় এমন হতে বায়েজিদের।
তার দাদা হাসেম শিকদার জানান, ১৮ বছর বয়সে একমাত্র ছেলে লাবলু শিকদারকে খালাত বোনের সঙ্গে বিয়ে দেন। এক বছরের মাথায় মাগুরা ম্যাটারনিটি হাসপাতালে বায়েজিদের জন্ম।
“জন্মের সময় ওর শরীরে চামড়া ছিল না। চেহারা দেখে মানুষ আৎকে উঠত। ওকে ৮০ বছরের রোগগ্রস্ত বৃদ্ধর মতো দেখাত।”
বয়স বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে মুখ ও শরীরের চামড়া বৃদ্ধদের মতো ঝুলে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
হাসেম শিকদার বলেন, বায়েজিদকে মাগুরা, ফরিদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কোনো চিকিৎসকই তার আসল রোগ চিহ্নিত করতে পারেননি।
নাতির উন্নত চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাহায্য কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, “এ ধরনের শিশু সম্ভবত আমাদের দেশে প্রথম দেখা গেল। এর আগে দেশে প্রজোরিয়া রোগে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যে জন্মের এক মাস পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধদের মতো হতে থাকে।”
“তবে বায়েজিদের মা-বাবার ভাষ্যমতে জন্ম থেকেই শিশুটি চেহারা ও শারীরিক অবস্থা বৃদ্ধদের মতো।
বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. দেবাশীষ।
শিশুটির বাবা লাবলু শিকদার বলেন, চেহারা ও শরীরে বার্ধক্যর ছাপ নিয়ে জন্ম নিলেও বায়েজিদের মানসিক গঠন ঠিক আছে।
“সমবয়সী অন্য বাচ্চাদের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। কথা বলতে পারে। তার স্মৃতিশক্তিও ভালো।”
তিনি বলেন, এলাকার বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে বায়েজিদের চিকিৎসা করিয়েছেন। চিকিৎসা অব্যাহত রাখলে ছেলে হয়তো স্বাভাবিক হত। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই তাদের।