মানববন্ধন, প্রতিবাদী আল্পনায় শিক্ষক হত্যার বিচার দাবি

টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আগের দুই দিনের মতোই সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে চলছে শিক্ষার্থীদের মাননবন্ধন আর বিক্ষোভ মিছিল। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষর্থীরা শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আঁকছেন প্রতিবাদী আল্পনা।

শনিবার সকালে রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজের বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করা হয়। ওইদিনই তিন দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

ওই কর্মসূচির শেষ দিন সোমবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিগগিরই আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

আগের দিনের মতো সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শ্রেণিকক্ষের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা গেছে। সবগুলো বিভাগের অফিস রুম খোলা থাকলেও শিক্ষকরা তাদের চেম্বারে বসেননি। বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টুকিটাকি চত্বর’ আগের দিনের মতোই প্রায় ফাঁকা। ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তায় অন্য দিনের মতো রিকশা চলতে দেখা যায়নি।

অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত। বারবার কেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হচ্ছে, কিংবা হুমকির চিঠি পাচ্ছে?

“আমরা সরকারের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার জানাই।”

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সমিতির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার দুপুরের আগে মানববন্ধন করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “দেশের আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। কিন্তু যখন দেখবো আমাদের সহকর্মীর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে নানা বাহানা করছে, তখন আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

অধ্যাপক রেজাউল খুন হওয়ার দিনই তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ এ ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের কথা বলেছে; এক শিবির নেতাকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।