‘রাজাকারপুত্রকে’ মনোনয়ন দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক অবরোধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরগনর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘একাত্তরের এক রাজাকারের সন্তানকে’ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

ফারুক মিয়া ফারুক মিয়া

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে এবার ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে প্রকাশিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকারদের তালিকায় ফারুকের বাবা তাজুল ইসলাম ওরফে তাইজ উদ্দিনের নাম রয়েছে।

এই মনোনয়নের প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাটিহাতা বিশ্বরোড় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে শুরু হয় অবরোধ।

খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আলমগীর কবির সিদ্দিকী জানান, অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-কুমিল্লা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফারুক মিয়া

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ব্যানার হাতে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় এ সময়।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার হারুনুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবারের কাউকে মনোনয়ন না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক তা অমান্য করে নিজের পছন্দমতো রাজাকারপুত্র ফারুককে মনোনয়ন দিয়েছেন।”

‘রাজাকারপুত্রকে’ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নতুন কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান জেলা গণজাগরণ মঞ্চের আহ্ববায়ক জিয়া কারদার।

এ বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিলেন- এ কথা সত্য নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন আমার নামে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।”

পরে অবরোধের কারণে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পুলিশ বিক্ষোভরতদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।

ওসি আলমগীর কবির দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন যান চলাচল করছে, তবে আগের জটের কারণে গতি কিছুটা কম।”