দিনাজপুরে মন্দিরে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) স্থানীয় নেতা শরিফুল ইসলাম বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 20 Dec 2015, 12:39 PM
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই বজলুর রশিদ জানান, শরিফুল শনিবার সন্ধ্যায় জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাজমুল হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিচারকের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে মন্দিরে গুলি ও বোমা ছোড়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন শরিফুল।
“দিনাজপুর জেএমবির অন্যতম এই লিডার শরিফুল ইসলাম কার নির্দেশে এবং কয়জনকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে হামলা করেন- জবানবন্দিতে তাও বলেছে।”
তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে চাননি গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে শরিফুল গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে ইতালীয় পাদ্রি হত্যাচেষ্টায়ও জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় বলে পুলিশ জানায়।
সেদিন এসআই বজলুর বলেছিলেন, “শরিফুল বলেছে, সে জেএমবির নেতাদের কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম। তার মিশন দিনাজপুর।”
এর আগে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হুমায়ুন কবির দিনাজপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিদেশি নাগরিক হত্যার চেষ্টা, কান্তজিউ মন্দিরে রাস মেলা ও ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা ও পেট্রোল পাম্পে লুটসহ সব হামলার ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা।
“এগুলো জেএমবির কাজ। এর পক্ষে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”
১০ ডিসেম্বর কাহারোলে ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা ছুড়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করার পর পুলিশে দেয়।
এই হামলার ঘটনায় পরদিন রাতে কাহারোল থানায় ছয়জনকে আসামি করে পুরোহিত গোবর্ধন হরিদাসের মামলায় শরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ওই মামলার আরেক আসামি মোসাব্বির আলম খন্দকারকে ১১ ডিসেম্বর এসএমজি ও গুলিসহ বীরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়।
আসামিদের বাকি চার জনকে মামলায় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গাইবান্ধার পলাশাবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর গ্রাম থেকে শরিফুলের বাবা ও চার প্রতিবেশীকে আটকের পর তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর সকালে শহরের মির্জাপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে সাইকেল আরোহী ডা. পিয়েরো পারোলারিকে গুলি ছুড়ে আহত করা হয়।