নিখোঁজ বাবাকে ফেরত চেয়েছে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা।
Published : 16 Mar 2015, 11:01 PM
সোমবার রাতে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ সান্ত্বনা দিতে গেলে স্কলাস্টিকা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী রাইদা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার একটাই আবেদন, আব্বুকে সুস্থ অবস্থায় যেন ফেরত দেওয়া হয়। এটাই আমার চাওয়া।”
গুলশানে সালাহ উদ্দিনের বাসায় এমাজউদ্দীনের সঙ্গে আবদুল হাই শিকদার, এম আবদুল্লাহ, ড্যাব নেতা রফিকুল ইসলাম লাবলুও গিয়েছিলেন।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “যে অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ওই রকম অবস্থায় আমার প্রিয় ছাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি আমি রাষ্ট্রের কাছে জানাচ্ছি।”
গত এক মাস ধরে অজ্ঞাত স্থানে থেকে গোপনে হরতালের বিবৃতি পাঠানো সালাহ উদ্দিনকে গত সপ্তাহে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবার ও বিএনপির অভিযোগ।
তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সরকারি কোনো বাহিনী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে তাকে খোঁজা হচ্ছে, পেলে গ্রেপ্তার করা হবে।
হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমার একটিই চাওয়া, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও। যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে গেছে, সেইরকম সুস্থ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করা হোক, এটাই আমার আবেদন।
“আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি তিনি যেন আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ নির্দেশ দেন। আমার ছেলে-মেয়েকে আশ্বস্ত করুন, আমার স্বামী সুস্থ ও ভালো আছেন।”
এ সময়ে মায়ের পাশে বসা ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও মেয়ে রাইদাও আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে।
হাসিনা বলেন, “বিদেশে আমার বড় ছেলে ও মেয়েও কিছুক্ষণ পরপর টেলিফোন করে বাবার সন্ধান জানতে চায়। আমি কিছুই বলতে পারি না।”
সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিনের বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় এবং বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করছেন।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন।