স্বামীর বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা পেতে বিফল আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করতে পারেননি।
Published : 13 Feb 2015, 08:45 PM
শুক্রবার রাতে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেলে ফটকে পুলিশ তাকে আটকে দেয়। ২০ মিনিট সেখানে অবস্থান করে ফিরে যান তিনি।
বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে দুই নেত্রীর সংলাপের দাবিতে মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
এরপর তার আহ্বান সরাসরি পৌঁছে দিতে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান নাসরিন সিদ্দিকী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তখন বাড়িতে না থাকায় সাক্ষাৎ পাননি তিনি।
তার দিন দিন পর শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে খালেদার কার্যালয়ে যান তিনি।
ওই কার্যালয় এখন ঘিরে না থাকলেও ফটকের বাইরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন এবং ঢোকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে নাসরিন ভেতরে যাওয়ার কথা বললে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা প্রথমে অপেক্ষা করতে বলেন। নাম-ঠিকানা লেখার কিছুক্ষণ পর একজন কর্মকর্তা বলেন, “ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই। আপনাদের যেতে দেওয়া যাবে না।”
নাসরিন সিদ্দিকী যখন পুলিশের অনুমতির জন্য কার্যালয়ের সামনে চেয়ারে বসে অপেক্ষায় ছিলেন, তখন খালেদা জিয়ার সেজ বোন সেলিনা ইসলাম গেইট দিয়ে ভেতরে ঢোকার সময় থেমে তার সঙ্গে হাসি বিনিময় করেন।
দেখা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি শান্তির জন্য এখানে এসেছিলাম। হরতাল-অবরোধ তুলে নিতে বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ জানাতে এসেছিলাম। এসব কর্মসূচিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদস্যরা আমাকে যেতে দেয়নি।”
সদ্য পুত্রহারা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে একা যেতে চাইলে তার অনুমতিও পুলিশ দেয়নি বলে জানান তিনি।
নাসরিন বলেন, “দেশের শান্তির জন্য আমি গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছিলাম। সেখানেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি।”
কাদের সিদ্দিকী মতিঝিলে নিজের কার্যালয়ের সামনে ১৭ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
নাসরিন সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আইন সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের রিফাত উল ইসলাম দ্বীপ, বিল্লাল হোসেন ও কাউসার জামান খান।