আগামী ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের যে মাঠে খালেদা জিয়ার জনসভার কর্মসূচি রয়েছে, সেদিন সেস্থানে সমাবেশ করতে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছে ছাত্রলীগ।
Published : 23 Dec 2014, 04:25 PM
বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ বলার জন্য তারেক রহমান ক্ষমা না চাইলে খালেদার জনসভা ঠেকানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি।
ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ মঙ্গলবার বলেছেন, “গাজীপুরে সমাবেশ করতে নিয়ম-কানুন অনুসারে আবেদন করেছি। সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে সমাবেশ করতে চাই এবং করবই।”
ছাত্রলীগকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের জনসভা সফল করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছে।
ফলে এই সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সাধারণত এক স্থানে দুই পক্ষ সমাবেশ ডাকলে স্থানীয় প্রশাসন গোলযোগ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা বন্ধ করে দেয়।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় জনসভা করে যাচ্ছেন খালেদা। এরই অংশ হিসেবে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে জনসভার কর্মসূচি দেয় ২০ দলীয় জোট।
এর মধ্যেই গত ১৫ ডিসেম্বর খালেদার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক লন্ডনে এক সভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ বলে বক্তব্য রাখেন।
এই বক্তব্যের পরপরই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। এর মধ্যেই খালেদার সমাবেশ ঠেকানোর হুমকি দেয় ছাত্রলীগ।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেকের বিচার দ্রুত করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মানববন্ধনে সোহাগ বলেন, “জাতির পিতাকে অবমাননা করায় গাজীপুরের ছাত্রসমাজ এবং শ্রমজীবী মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, সমাবেশ করতে তারা দেবে না।’’
তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে বদরে আলম কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ সমাবেশ করবে বলে জানান সোহাগ।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দিপ ইতোমধ্যে বলেছেন, “২৭ তারিখের আগে যদি তারেক রহমান জাতির কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে কোনো প্রকারেই খালেদা জিয়াকে গাজীপুরে জনসভা করতে দেওয়া হবে না।”
ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ ও টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও তারেকের কুশপুতুল দাহ করছে।
এদিকে জনসভাস্থল কলেজ মাঠ শনিবার ঘুরে দেখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও গাজীপুর সিটি মেয়র এমএ মান্নান, কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল।
মিলন বলেন, “জনসভাকে সফল করতে জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, গ্রাম-গঞ্জের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি ও প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।”