এ্যানি-টুকুর গাড়িতে ছাত্রদলের ‘পদবঞ্চিতদের’ হামলা

জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রদলের ‘পদবঞ্চিতরা’।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। এর মিনিট দশেক আগে কবর প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে বিজয় সরণীর সামরিক যাদুঘরের সামনের সড়কে আক্রান্ত হয় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে বহনকারী গাড়ি।

এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা ওই গাড়ির কাচও ভাংচুর করে। এরপর পদবঞ্চিত নেতাদের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

ছাত্রদলের পদবঞ্চিত অংশের দুই নেতা জানান, তাদের অংশের নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে যাওয়ার জন্য যখন সামরিক যাদুঘরের কাছে ফুটপাতে গাছের নিচে জড়ো হচ্ছিলেন, তখনই এ্যানি-টুকুকে নিয়ে গাড়িটি সেখানে পৌঁছায়।

এ সময় কয়েকজন কর্মী এ্যানি-টুকুকে দেখে হৈ-চৈ শুরু করেন এবং ‘ধর ধর, দালালদের ধর’ বলে চিৎকার করতে করতে গাড়ির দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। এতে গাড়ির ডানদিকের দুটি কাচ ভেঙে যায়।

“এরপর বড় ভাইরা বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করলে গাড়িটি দ্রুত চলে যায়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের তেঁজগাও জোনের সহকারী কমিশনার আফরাজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমরা দেখছি।”

গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করে আসছে। সে সময় তারা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বোমাবাজি করে। 

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস কোন্দল মেটাতে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান আসেনি।

শুক্রবার দুই নেতার গাড়িতে হামলার ঘটনার পর ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জিয়ার কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময়ে এ্যানি বা টুকুকে দেখা যায়নি।