আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
Published : 01 Oct 2014, 07:44 PM
তিনি বলেছেন, নিউ ইয়র্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী হজ নিয়ে যা বলেছেন, তা তার ব্যক্তিগত মত, দলের নয়।
“তাই এটা নিয়ে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু তৈরির কোনো অবকাশ নাই। কেউ যদি এ নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাহলে আওয়ামী লীগ ঘরে বসে থাকবে না।”
লতিফ সিদ্দিকীর অপসারণের দাবিতে বিএনপির কর্মসূচির হুমকির প্রেক্ষাপটে বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।
“এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। এই হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছেন। এদের কোনো কাজ নাই। কোনো প্রডাকশন নাই, শুধু ডিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা বিদেশে দিয়ে আসছে।”
তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মন্ত্রীকে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে সরকার ‘ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে’ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা ও সংসদ থেকে অপসারণ করা না হলে পূজা ও ঈদের পর ২০ দলীয় জোট কর্মসূচি দেবে।
লতিফ সিদ্দিকীকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে ২৬ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ।
সুরঞ্জিত বলেন, “এই ঘটনা দেশের বাইরে ঘটেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেও দেশের বাইরে এবং এ বিষয়ে যিনি সিদ্ধান্ত নেবেন-- আমাদের অভিভাবক তিনিও দেশের বাইরে। সুতরাং এ বিষয়ে অপেক্ষা করা বা ধৈর্য্য ধারণ করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই।”
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই দেশে ফিরবেন। তারপর তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সুতরাং এখনই কোনো মতামত দিয়ে কাউকে বিব্রত করতে চাই না।”
এ নিয়ে ‘উত্তেজিত’ না হতে সবাইকে পরামর্শ দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি বলেন, “আবেগপ্রবণ হওয়ার কিছু নাই। রাজনৈতিকভাবে না, এটাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখুন। তবে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা স্পর্শকাতর। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য না দেওয়াই ভাল।”
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া ও সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।