জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থেকে সরকারে থাকলেও খোদ দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এখন এর বিপরীত কথা বলছেন।
Published : 07 Sep 2014, 05:16 PM
সরকারে না থাকা নিয়ে খুব শিগগিরই দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হবে বলে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
হবিগঞ্জে দলের এক সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে আশুগঞ্জে রাজমনি হোটেলে যাত্রাবিরতি দেন এরশাদ, সেখানেই সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে জাতীয় পার্টি নানা নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।
এরপর সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসার পাশাপাশি সরকারেও যোগ দেয় পার্টি, এরশাদ নিজেও হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
একইসঙ্গে সরকারে এবং বিরোধী দলে থাকাটা গণতন্ত্র চর্চার সঙ্গে মেলে না বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চললেও জাতীয় পার্টি না নাকচ করে আসছিল।
তবে মাস খানেক আগে এরশাদের ভাই জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জি এম কাদের দলীয় এক সভায় দলের এই অবস্থানের সমালোচনা করেন।
এরপর গত সপ্তাহে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠে। সেখানে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পক্ষে বেশিরভাগের মত আসে বলে গণমাধ্যমের খবর।
বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য আলোচিত এরশাদ বলেন, “বিরোধী দল করতে হলে সরকারের থাকা যায় না। ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা করেছিলাম, সিদ্ধান্ত কিছুদিন পরে হবে।”
সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সরকারের ভুলগুলো তুলে ধরবেন বলে জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জাতীয় পার্টিকে এককভাবে ক্ষমতায় নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এখন কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
“আমাদের লক্ষ্য হল আগামীতে নির্বাচনে গিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। জাতীয় পার্টির পালে হাওয়া লেগেছে। আগামীতে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে এবং সরকার গঠন করবে।”
এজন্য সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মেরাজ সিকদার প্রমুখ।