বাংলাদেশে ইসরায়েলের কোনো দূতাবাস না থাকলেও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তা ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় এক নেতা।
Published : 26 Jul 2014, 08:25 PM
শনিবার হেফাজতের চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ ধরে এই ঘোষণা দেন বলে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফলে এই দেশটির কোনো দূতাবাস বা মিশন যেমন বাংলাদেশে নেই, তেমনি ইসরায়েলেও বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক মিশন নেই।
বাংলাদেশিরা যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যান, তাতেও বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে হেফাজতের চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক আ ন ম আহমদ উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ভুলবশত’ এই প্রেসরিলিজ সরবরাহ হয়েছে।
“সংবাদ বিজ্ঞপ্তি টাইপ করার সময় ভুলে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাওয়ের কথা লেখা হয়ে যায়। ওই ভুল প্রেস রিলিজটিই চলে গিয়েছিল।”
হেফাজত নেতা রুহী ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে আহমদ উল্লাহ জানান।
ফিলিস্তিনের গাজায় পক্ষকাল ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে রুহী বলেন, “ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ না হলে বাংলাদেশে ঈসরাইলী দূতাবাস ঘেরাও করা হবে।”
হেফাজত নেতা রুহী বক্তব্যে ইসরায়েলের এই হামলাকে ইহুদি-খ্রিস্টানদের চক্রান্তে মুসলিম নিধনের অংশ দাবি করে মুসলমানদের জিহাদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বানও জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে হেফাজত নেতা কাতেব ইলিয়াছ ওচমানী বলেন, “হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তাই কেউ হেফাজত ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা মোজাম্মেল হক,সুহাইল সালেহ, আনোয়ার হোছাইন রব্বানী, আবু তাহের ওসমানী প্রমুখ।