২০১৫ সালের আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে ৪০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Published : 14 Jun 2016, 01:34 AM
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে দলগুলোর মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুয়েকদিনের মধ্যে এই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ হিসাব জমা দেওয়ার তাগিদ দিয়ে নিবন্ধিত ৪০ দলকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রৌশন আরা বলেন, “এক্ষেত্রে একটি রেজিস্টার্ড চাটার্ড ফার্ম দিয়ে অডিট করতে হবে। প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহর থাকতে হবে।”
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
তখন নিবন্ধন পেলেও দশম সংসদের আগে ২০১৩ সালে আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ রয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে বাতিল হয় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধনও।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২-এর ৯০-এইচ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত কোনো দল পরপর তিন বছর কমিশনে আর্থিক প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।
এবার অন্তত দুটি দল রয়েছে, যাদের বার্ষিক প্রতিবেদন পরপর দু’বছর পায় নি ইসি।